মনোজিৎ মিত্রের কয়েকটি এলোমেলো কবিতা
সুন্দরবন
মিছিলের যে মুখ আহত বুলেট ও টিয়ার গ্যাসে
সেই প্রাণে তুমি আরও জোর আনো, মরণ দাও
গো সব দাসানুদাসে!
যে মুখ করে না উচ্চারণ, ‘বাঁচাও সুন্দরবন’, সে
মুখ নষ্ট হোক, আওয়ামী বেশে। তার তরে তুমি
লিখো ইতিহাস, কত সে সর্বনেশে।
লক্ষ্মীর প্রতি ৪
তুমি না আসো।
স্নান শেষে তোমার গা বেয়ে ঝরা কিছু জল আমারে পাঠায়ে দিও,
পার্সেলে! যদি আরো সম্ভব হয় (সম্ভব না হওয়ার, কিছু তো আমি
দেখি না) কিছুটা সুঘ্রাণ তোমার, ওই পার্সেলেই গুজে দিও। যত্নে।
তুমি না আসো।
দুপুরের ভাতঘুমে যেটুকু ঘাম জমে পিঠের পাশে সেটুকুও পাঠায়ে
দিও, এই বৃষ্টির উছিলায়। —দিও লক্ষ্মী তোমার একাকী অবসাদ।
তুমি না আসো।—ইচ্ছে হলে, অবহেলায় নিয়ো লক্ষ্মী নাম। নিয়ো।
মরণের দেখা পেয়ে
শবদেহে আছি বেঁচে —পৃথিবী চিতায়
তুলে তুলে কীট এনে, সংসার সাজাই!
অগ্নি জ্বালবো বলে, পুষে রাখছি জ্বালা
পায়ের শিকলে জড়ায়; আশার তালা।
যারে যারে সই ভাবি দেখি তারা ডোম
অপেক্ষায় আছে বসে, কবে আসে যম!
লগবুক ৫
ব্যথায় বুক ভরে যায়
এমন বৃষ্টি দেখে;
কীভাবে ঘুমাবো আমি
দূরে তোমায় রেখে?
আহ্বান
শুনছো
মেঘ, ডাকছে।
মাথার ওপরে
বিরহ ভারে
—বৃষ্টির পরে
আসছে
যে অন্ধকার।
শুনছো
মেঘ ডাকছে।
চলো
বৃষ্টির, জলে
গা ধুয়ে নিই
গহীনে
যাবার আগে!
শুনছো
মেঘ ডাকছে।
লগবুক ৪
ভালোবেসে তুমি, শিখিয়েছ ছল
তবু কেন চোখ ভরে আসে জল?
লগবুক ৩
কী করি,
আমি কী করি?
সামনে শুয়ে আছে সর্বনাশ
তার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ি?
লগবুক ২
আহা
কী সুন্দর, সব লাশ!
সেজেগুজে চলছে ভেসে, হাসি হাসি শরীর।
মনোজিৎ মিত্র
কবি, গল্পকার ও সাংবাদিক