রাজনৈতিক শূন্যতার কারণেই জঙ্গিবাদের জন্ম: জেবেল গাণি

971
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভায় বক্তব্য রাখছেন জেবেল রহমান গাণি
এখন রিপোর্ট:
২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, ১লা জুলাই বাংলাদেশকে নতুন করে ভাবার সুযোগ দিয়েছে। জঙ্গিবাদ শুধু আমাদের জাতীয় সমস্যা নয়, সারা বিশ্বেই এটি একটি ভয়াবহ সমস্যা। যখনই গণতন্ত্র সংকোচিত হয়েছে বা গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তখনই সেখানে কোন না কোন অপশক্তির জন্ম হয়েছ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন গণতন্ত্রহীনতা চলছে তখই জঙ্গিবাদের মত ভয়ংকর ব্যাধি সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। কিন্তু, প্রতিযোগিতার নামে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিলে চলবে না। আমাদের সকলকেই জাতীয় স্বার্থকে প্রাধাণ্য দিতে হবে। জেবেল রহমান গানি আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, বিএনপি‘র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডঃ এমাজউদ্দিন আহমদ, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম , কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হাসান চৌধুরী, ডাকসুর সাবে ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, এনপিপি চেয়ারম্যান ডঃ ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডঃ জাফরুল্লাহ, কবি আল মুজাহীদি, ডঃ আসিফ নজরুল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সিনিয়র নেতা নাসরিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় নিঃশর্ত জাতীয় ঐক্যে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দেশে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতীয় এ সংকটে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নিঃশর্ত জাতীয় ঐক্য। কিন্তু সেই ঐক্যর আহ্বানকে প্রত্যাখান করে সরকার জনআঙ্কাখার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছে।

তিনি বলেছেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলকে উপেক্ষা করে কোনো সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে না। অথচ সরকার বরাবরই সরকারের শরিক আর গৃহপালিত বিরোধী দল ছাড়া বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিকে অবহেলা করছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালো হলেও, সরকার সেই আহ্বান প্রত্যাক্ষান করে দোষারোপের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু দোষারোপের রাজনীতি দিয়ে জাতীয় সংকটের সমাধান করা যাবে না।

 জেবেল রহমান গানি আরো বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যে‘র আহ্বানকে নাকচ করে দিয়ে  প্রধানমন্ত্রী সমগ্র জাতির প্রত্যাশা ও আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করেছেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ যখন অস্তিত্বের গভীর সংকটে নিপতিত, দেশবাসী যখন আতঙ্কিত তখন প্রধানমন্ত্রীর নেতিবাচক বক্তব্য কার পক্ষে জাতির মনে আজ সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী।

 অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, জাগপা সাধারন সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না।

এস/এখন