রোজায় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক: বাণিজ্যমন্ত্রী

986

এখন রিপোর্ট।।

রোজা শুরু হতেই বাজারে বিশেষ কিছু পণ্যের দাম বেশ বাড়লেও তা ‘অস্বাভাবিক’ নয় মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

হবিগঞ্জ-১ আসনের আব্দুল মুনিম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, রমজান উপলক্ষে কিছু পণ্যের অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি হলেও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু পণ্য আমদনিনির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দামের উঠা-নামার প্রভাব দেশীয় বাজারেও পড়ে।

তোফায়েল বলেন, “দেশীয় বাজারে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে- একথা সঠিক নয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি অনকূলে থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেছেন।”

রোজা শুরুর দিন মঙ্গলবার বেগুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও ছোলাসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

চট্টগ্রামে রিয়াজউদ্দিন বাজারে আসা সরকারি চাকরিজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেন, “রোজার আগে থেকে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। রোজার প্রথম দিনে বাড়ল আরেক দফা।

“রোজা আমাদের মতো, নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য সৌভাগ্য হতে পারছে না এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য।”

পাঁচ দিনের ব্যবধানে এই বাজারে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় উঠেছে। ২০ টাকার পেঁয়াজের দর মঙ্গলবার ২৫ থেকে ২৮ টাকায় উঠেছে। শসার দর কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় উঠেছে।
তোফায়েল বলেন, গত সরকারের পাঁচ বছর ও বর্তমান সরকারের সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি সব স্তরের আমদানিকারক, পরিবেশক ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে।

সরকারের এ মেয়াদে বাণিজ্য চুক্তি হয়নি

বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে কোনো দেশের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি হয়নি বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সরকার দলীয় এমপি আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সময়ে কয়েকটি চুক্তি যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিগত মেয়াদে ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কুয়েতের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের ৪৫টি দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে।

মো. আব্দুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা রয়েছে।

গত অর্থবছরে ৩১ হাজার ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।

এখন/এমএ