ফিরোজ মাঝির গল্প

1855

ফিরোজ মাঝির ঘর বসতি বলা চলে পানিতেই। পেশায় মাঝি এ মানুষটি জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছে বৈঠা বেয়ে। ছোট্ট নৌকায় বুড়িগঙ্গার এপাড় থেকে ওপাড়ে মানুষ পারাপার করেই তার দিন কাটে। জনপ্রতি ৫টাকার বিনিময়ে একজনকে পার করে প্রতিদিন তার ঝুলিতে জমা হয় ৫শ/৭শ টাকা। এ দিয়েই চলে সংসার, নিজের সবকিছু।

একসময় সুন্দরবন লঞ্চে চাকরি করতেন ফিরোজ মাঝি। সেখান থেকে চাকরি চলে যাওয়ার পরে জীবিকার জন্য বেছে নেন নৌকা চালানোর পেশা। বয়স এখন ৬০। তবে নৌকার বৈঠায় হাত রাখলে তিনি হয়ে উঠেন ২৫ বছরের টগবগে তরুণ। রুটি রুজির এ পেশাতেই তার সব আনন্দ। মানুষ পার করে যে সামান্য টাকা পান, তার চাইতেও বেশি আনন্দ পান তিনি এ কাজ করে।

বুড়িগঙ্গায় ফিরোজ মাঝির নৌকায় চড়ে তার জীবনের গল্প তুলে এনেছেন সাংবাদিক শওকত আলী পলাশ। সেসব গল্প নিয়েই এ ভিডিওচিত্র।

ফিরোজ মিয়া বলেন, কতো মানুষ পার করছি, তার কোনো হিসাব রাখা কি সম্ভব? আমার জীবন যে কেমনে পার হয়, সে হিসাবও কারও কাছে নাই…।