২০ বছরের বড় স্বামী কেনো বেছে নিয়েছিলেন বাঁধন

2942

সংসার ভাঙার পর এখন একমাত্র মেয়ে সায়রাকে নিয়ে আছেন আজমেরী বাঁধন। এরই মধ্যে নিজেকে অনেক বদলেও নিয়েছেন। ওজন কমিয়ে এখন অনেক ফিট। বদলে যাওয়া এই মডেল ও অভিনেত্রীকে ইদানীং নাকি একটি কথা প্রায়ই শুনতে হয়, কেন আপনি আপনার চেয়ে বয়সে বড় একজনকে বিয়ে করছেন? এর উত্তরও দিয়েছেন তিনি।

টিভি অভিনেত্রী আজমেরী বাঁধন প্রায় চার মাস বিরতিতে ছিলেন। দেখা যায়নি নাটক কিংবা টেলিছবিতে। বিরতির পর কাজে ফিরেছেন চ্যানেল আইয়ের ‘ওয়ানটেক কোয়েশ্চেন/আনসার’ নামের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানেই তাঁকে উপস্থাপক বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি সোজাসাপটা উত্তর দেন।

badhon-2 copyউপস্থাপক জানতে চান, বিবাহবিচ্ছেদের পর নাকি বাঁধনকে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, কেন তিনি তাঁর চেয়ে বয়সে অনেক বড় ব্যক্তিকে বিয়ে করছিলেন? উত্তরে বাঁধন বলেন, ‘আমি কখনো টাকার জন্য বয়সী কাউকে বিয়ে করিনি। একজন মানুষের সঙ্গে সংসার করার জন্য বিয়ে করি। সবাইকে একটি ব্যাপার নিশ্চিত করতে চাই, এই বিয়েটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভুল ছিল।’

আজমেরী বাঁধন ২০১০ সালে তাঁর চেয়ে ২০ বছরের বড় মাশরুর সিদ্দিকী সনেটকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। প্রায় চার বছর সংসার করার পর ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বাঁধন-সনেট দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর এখন মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁধন। তবে দীর্ঘদিন চাপা থাকা এ খবর প্রকাশ্যে আসে গত বছরের আগস্টে। ওই মাসের ৩ তারিখ মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে স্বামী সনেটের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন বাঁধন। তখনই সবকিছু জানাজানি হয়।

জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আজমেরী বাঁধন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিটনেস থেকে শুরু করে নিজের মধ্য অনেকটাই পরিবর্তন নিয়ে আসেন তিনি। বেশ জমকালো আয়োজনে গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ‘দহন’ ছবির নায়িকার নাম ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে সেদিন ঘোষণা করা হয়, লাক্স তারকা বাঁধন আবার চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন। শুটিংয়ের আগে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে ছবিটিতে কাজ করতে পারবেন না বাঁধন।

বাঁধন জানালেন, নিজেকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছেন। এখন আর অনেক কিছুতে ভয়ও পান না তিনি। বললেন, ‘জীবনে এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি, বিশেষ করে সংসারজীবনের ঘটনা নিয়ে তাতে এখন আর কোনো প্রশ্নকেই ভয় করি না।’

badhon-3কথায় কথা বাঁধন জানালেন, একটি সুশৃঙ্খল জীবন মেনে চলার চেষ্টা করছেন, যা তিনি সব সময় করে থাকেন। তাঁর মতে, একজন মানুষের জন্য একটি সুশৃঙ্খল জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাঁধন বলেন, ‘জীবন যদি সুশৃঙ্খল না হয়, তাহলে কোনো কিছু অর্জন করে ধরে রাখা সম্ভব নয়। আমি কাজ করি রুটি-রুজির জন্য ঠিক আছে, কারণ এটা আমার ভালো লাগার জায়গা। আমাদের কিন্তু বোঝারও ভুল আছে, সবকিছুর আগে সবাইকে পেশাকে বেছে নিতে হয়। তাই বলে এটা ঠিক নয়, জীবনকে বিশৃঙ্খল করে ফেলব। প্রত্যেক সফল মানুষ কিন্তু তাঁর জীবনে অনেক সুশৃঙ্খল, আর এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে দেখবেন, অনেক নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা আর অভিনেতা-অভিনেত্রী উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করেন, আর সাধারণ মানুষ মনে করেন, এটাই বুঝি আদর্শ—ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। মানুষকে বোঝাতে হবে, জীবনে শৃঙ্খলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমার উপলব্ধি। আমি সব সময় একটি সুশৃঙ্খল জীবন মেনে চলার চেষ্টা করেছি, অনেক বিপদেও পড়েছি।’