কোটা সংস্কার : মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি

496

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল, তবে যদি কোটার প্রয়োজন হয়- সে ক্ষেত্রে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই, যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসবে। এখন সংস্কার করলে আগামীতে আরেক দল আবারও সংস্কারের কথা বলবে। কোটা থাকলেই ঝামেলা। সুতরাং কোনো কোটা পদ্ধতিরই দরকার নেই। কোটা ব্যবস্থা বাদ, এটাই আমার পরিষ্কার কথা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি (কোটা রাখার) দরকার হয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারি তো আছেই। তাকে তো আমি বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিটি বসে কাজ করবে। সেখান থেকে তারা দেখবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও ফরমালি গঠন (কমিটি) করা হয়নি।’

কমিটিতে আর কে কে থাকছেন ও কার্যপরিধি কী হবে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘ফরমেশনটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ক্যাবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে হবে, এটা বলা হয়েছে। কারা কারা থাকবে- না থাকবে, কী হবে, না হবে- সেসব বিষয় ঠিক হতে একটু সময় লাগবে।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এ ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।