জিম্বাবুয়েকে ২১৭ রানের লক্ষ্য

550

ক্রেমারের সঙ্গে জার্ভিসের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ২১৬ রানেই থামলো বাংলাদেশের ইনিংস। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ২১৭ রান।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশ এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান এনামুল বিজয়। কাইল জার্ভিসের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগলে আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দেন।

বিজয়ের বিদায়ের পর উইকেটে এসে দেখে শুনে খেলতে থাকে সাকিব। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। সিকান্দার রাজার বলে চার মেরে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। তবে এরপরই মাথা গরম করে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করলে সহজেই স্ট্যাম্পিং করেন টেলর। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

দলীয় ১১২ রানের মাথায় আউট হন সাকিব আল হাসান। এরপর তামিমের সঙ্গে ৩৫ রানের একটা মাঝারি মানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ক্রায়েম ক্রেমারের বলে ফুল অব স্ট্যাম্পে ছিল বল। কিন্তু সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট ফাইন লেগে। মুজারাবানি ক্যাচ ধরলেন। ১৮ রান করে ফিরে যান মুশফিক।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঠে নেমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র ২ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। ক্রেমারের গুগলি ফাঁদের শিকার হয়ে ফিরতে বাধ্য হলেন। দলীয় রান এ সময় ১৫৬।

ওয়ানডেতে ৬০০০ রান পূরণ করার পর দুর্দান্ত গতিতে সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ক্রেমারের বলে ক্রিজ ছেড়ে এসে খেলতে যান তামিম; কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না। ফলে ৭৬ রানেই এবারের যাত্রা থামিয়ে দিতে বাধ্য হলেন তামিম। টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পরও সেটাকে তিন অংকের ঘরে নিতে পারলেন না তিনি।

তামিমের পর উইকেটে নামেন নাসির হোসেন। জুটি বাধেন সাব্বির রহমানের সঙ্গে। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় সাব্বির উইকেট থ্রো করে আসেন বলতে গেলে। মাত্র ৬ রান করে জার্ভিসের বলে আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। নাসির (২) ও মাশরাফি (০) ফিরে যান দ্রুত। শেষ দিকে সানজামুল ১৯ ও মোস্তাফিজ ১৮ রান করলে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১৭।