রোববার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এক সম্পূরক প্রশ্নে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কাছে কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি জানান।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য কিছুটা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমি ওই বিষয়টি নিয়ে সংসদে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছি। আপনি (রেলমন্ত্রী) বার বার বলেছেন,অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এটা বাস্তবায়ন হবে।কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।দেশের সর্বত্র উন্নয়ন হলেও আমার এলাকার জনগণের জন্য এই রেলটি চালু হচ্ছে না।”
এ সময় রেলমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “অদক্ষ মন্ত্রীকে কেউ অর্থ দেয় না।”
পরে প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে রসিকতার আশ্রয় নেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির ওই সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ্য করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত মুজিবুল হক বলেন, “মাননীয় সংসদ সদস্য আপনি নির্বাচিত হয়েছেন কুড়িগ্রাম থেকে আর আমি চৌদ্দগ্রাম থেকে। আপনি আমার থেকে ৬ গ্রাম এগিয়ে রয়েছেন।”
রেলমন্ত্রী বলেন, “আপনি আমাদের মহাজোটের সদস্য। আগে মন্ত্রী ছিলেন। আপনি গ্রামের দিক থেকেও এগিয়ে আর মন্ত্রীর দিক থেকেও পুরনো। তা আপনি যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন ওই রেলটি তো বাস্তবায়ন করতে পারতেন। আপনি সেটা কেন করেননি।”
‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’
সংসদে প্রশ্ন করতে গিয়ে এলাকার একটি সড়ক নির্মাণ নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন সাবেক মন্ত্রী ও সরকার দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদ। একাধিকবার সড়কটি নির্মাণের জন্য বলেও তা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জবাব দিতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “মাননীয় সংসদ সদস্য আপনি বোধ হয় রেগে আছেন। রেগে গেলে কিন্তু হেরে যাবেন। আপনি ঠাণ্ডা মাথায় প্রশ্ন করুন। আমিও ঠাণ্ডা মাথায় জবাব দেব।”
পরে ওবায়দুল কাদের ওই সংসদের প্রশ্নের জবাবে তার গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।