১২০ ইউপিতে চেয়ারম্যান হলেন যারা

1203

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেশি বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার দেশের তিন শতাধিক ইউপিতে ভোট হলেও চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে ১৭০টিতে। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ১৩ জন। রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২০টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের নাম পাওয়া গেছে।

তাদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীতরা বিজয়ী হয়েছেন ৯২টিতে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীতরা বিজয়ী হয়েছেন ১২টিতে। এছাড়া ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অন্যান্য দলের মনোনীতদের মধ্যে ৯ জন বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে মার্চ-জুন পর্যন্ত চার মাসব্যাপী ছয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতরা অধিকাংশ ইউপিতে বিজয়ী হন। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হওয়া এই ভোটের আগের ছয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা দুই হাজার ৭০০ ইউপিতে ও ধানের শীষের প্রার্থীরা ৪৫০টি ইউপিতে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন সাত শতাধিক।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুচয়া ইউপিতে নৌকার এমএম ইনজামুল হক জসিম, জঙ্গলখাইন ইউপিতে নৌকার গাজী মো. ইদ্রিস ও চরপাথরঘাটা ইউপিতে নৌকার হাজি ছাবের আহম্মদ। বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউপিতে নৌকার শামসুল আলম। হাটহাজারীর মখল ইউপিতে নৌকার সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, মির্জাপুর ইউপিতে নৌকার নুরুল আফসার ও চিকনদণ্ডী ইউপিতে নৌকার হাসান জামান বাচ্চু।

ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউপিতে নৌকার শাহদাত হোসেন সাখা ও বালীগাঁও ইউপিতে নৌকার মোজাম্মেল হক বাহার। ফুলগাজী সদর ইউপিতে নৌকার নুরুল ইসলাম, মুন্সীরহাট ইউপিতে নৌকার ভিপি নুরুল আমিন, দরবারপুর ইউপিতে নৌকার নিজাম উদ্দিন মজুমদার, জিএমহাট ইউপিতে নৌকার মুজিবুল হক, আনন্দপুর ইউপিতে নৌকার হারুণ মজুমদার, আমজাদহাট ইউপিতে নৌকার মীর হোসেন মিরু।

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউপিতে নৌকার আমির হোসেন বাহাদুর, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউপিতে নৌকার নুর নবী চৌধুরী, সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর ইউপিতে নৌকার আকতার হোসেন দুলু, বেগমগঞ্জের এখলাসপুর ইউপিতে বিএনপির খলিলুর রহমান, হাজীপুরে বিএনপির জিন্নাহ মিয়া এবং নরোত্তমপুর ইউপিতে বিএনপির হারুনুর রশিদ বাচ্চু।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সদরের দিগলীতে নৌকার শেখ মজিবুর রহমান ও রামগঞ্জের ভাটরা ইউপিতে নৌকার আবুল হোসেন, কমলগর চরনরেন ইউপিতে নৌকার একেএম নুরুল আমিন ও চরমাটিন ইউপিতে নৌকার মো. ইউসুফ আলী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউপিতে মো. জালাল উদ্দিন (নৌকা) ও মনিচন্ধ ইউপিতে মো. কামাল ভূঁইয়া (নৌকা)।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউপিতে নৌকার তাজুল ইসলাম মিয়াজী, চাদ্রা ইউপিতে নৌকার খানজাহান আলী কালু, কল্যাণপুর ইউপিতে নৌকার শাখাওয়াত হোসেন রনি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া পূর্ব ইউপিতে বিএনপির বাসির আহম্মদ, শাহরাস্তি উপজেলার চিতশী পূর্ব ইউপিতে নৌকার আবু ইউসুফ পাটওয়ারী ও রায়শ্রী উত্তর ইউপিতে বিএনপির সেলিম পাঠওয়ারী লিটন।

খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আনিসুর রহমান। যশোর জেলার সদর উপজেলার চাঁচড়ায় আওয়ামী লীগের আবদুল আজিজ, চৌগাছার পাশাপোলে আওয়ামী লীগের অবাইদুল ইসলাম সবুজ ও কেশবপুরের গৌরীঘোনায় আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রামে আওয়ামী লীগের আলী হোসেন অপু ও সিমলা রোকনপুরে আওয়ামী লীগের নাসির চৌধুরী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু মিয়া, শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোতাচ্ছিন বিল্লাহ সংগ্রাম ও শালিখার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফিরোজ হোসেন।

নড়াইল জেলার লোগাগড়ার শালনগরে আওয়ামী লীগের খান তসরুল ইসলাম।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কেরালকাতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল হামিদ, কুশডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আসলামুল হক, তালার কুমিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আজিজুর রহমান, দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. সাইফুল ইসলাম ও শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে আনিচুর রহমান সবুজ (ওয়ার্কার্স পার্টি), রহমতপুর ইউনিয়নে সরোয়ার মাহমুদ (ওয়ার্কার্স পার্টি), মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম সিকদার (আওয়ামী লীগ), উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে ডা. দেলোয়ার হোসেন (আওয়ামী লীগ)।

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সী (আওয়ামী লীগ), সূর্যমনি ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ইকবাল মাহমুদ রিপন (বিদ্রোহী-আওয়ামী লীগ)।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে কাজী রফিকুল ইসলাম মিলন (জেপি), চিড়াপাড়া ইউনিয়নে মাহমুদ হোসেন খোকন (আওয়ামী লীগ), মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাপা ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ তালুকদার (আওয়ামী লীগ), নাজিরপুর উপজেলার শাখারীকাঠি ইউনিয়নে আক্তারুজ্জামানা গাউস (আওয়ামী লীগ), ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নে হুমায়ন কবীর (আওয়ামী লীগ)।

সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নুর উদ্দিন আহমদ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির এরশাদ মিয়া বিজয়ী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকার হবিরবাড়ীতে আওয়ামী লীগের মো. তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু, ফুলবাড়িয়ায় রাঙ্গামাটিয়ায় আওয়ামী লীগের সালিনা চৌধুরী সুষমা ও কুশমাইলে আওয়ামী লীগের শামসুল হক, ত্রিশালের কানিহারিতে আওয়ামী লীগের আশরাফ আলী উজ্জল ও বালিপাড়ায় আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ বাদল, ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বরে বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ডা. আবদুল মোতালেব।

জামালপুরের মাদারগঞ্জের জোরখালীতে আওয়ামী লীগের ফরিদুল ইসলাম, পাকেরদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তৌফিকুল ইসলাম, বালিজুরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোজাম্মেল হক বগলা এবং সংঘর্ষের কারণে স্থগিত মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. শাহাবউদ্দিন।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার দেহোন্দা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান সঞ্চু, ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নে বিএনপির সোহাগ মিয়া। কুলিয়ারচরে ছয়সুতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মীর মিছবাহুল হক জরু, রামদীতে আওয়ামী লীগের মো. আলাল উদ্দিন।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মির্জা রাজিক।

মানিকগঞ্জ সদরের জাগীরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাকির হোসেন।

মুন্সীগঞ্জের রামপালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাচ্চু শেখ, টঙ্গিবাড়ীর যশলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আলমাস চোকদার, গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহিদ মো. লিটন।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বেথুড়ীতে আওয়ামী লীগের ক্ষীরোদ রঞ্জন বিশ্বাস ও রাজপাটে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ডি মনিরুল আলম খান।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মফিদুল ইসলাম।

পাবনা জেলার আতাইকুলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম।

রংপুরের লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাটে বিএনপির ইদ্রিস আলী, হাতিবান্ধায় গোতামারীতে আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম, বুড়িমারী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত, শ্রীরামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম, জগটবের ইউপিতে আওয়ামী লীগের নবীবর রহমান, পাটগ্রাম ইউপিতে আওয়ামী লীগের বেলাল হোসেন, কুচলিবাড়ী ইউপিতে আওয়ামী লীগের হামিদুল হক এবং জোংড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আশরাফ হোসেন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সদরে হারুন অর রশিদ (আওয়ামী লীগ), কাশিপুর ইউপিতে গোলজার হোসেন মণ্ডল (জাতীয় পার্টি) ভাঙ্গামোড় ইউপিতে লুতফর রহমান বাবু (স্বতন্ত্র), ভুরুঙ্গামারির পাথরডুবিতে হুমায়ুন কবির (স্বতন্ত্র), শিলাকুড়ি ইউপিতে ইসমাইল হোসেন (বিএনপি) ও ভুরুঙ্গামারী সদরে মাহমুদুর রহমান রোজেন (জাতীয় পার্টি)।

পঞ্চগড় সদরের হাফিজাবাদ ইউপিতে গোলাম মুছা কলিমুল্লাহ (নৌকা), চিলাহাটি ইউপিতে কামাল মোস্তাহারুল হাসান প্রধান নয়ন (নৌকা), টেপরিগঞ্জ ইউপিতে গোলাম রহমান সরকার (নৌকা), মাড়েয়া ইউপিতে আবু আনছার মো. রৌশন করিম শামীম (নৌকা), ময়দান দীঘি ইউপিতে আবদুল জব্বার (নৌকা) ও বোদা সদর ইউপিতে মশিউর রহমান (নৌকা)।

রাজশাহীর বাগমারার ঝিকড়ায় আওয়ামী লীগের আব্দুল হামিদ ফৌজদার, যুগীপাড়ায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা কামাল, গোয়ালকান্দিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলমগীর সরকার, শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মকবুল মৃধা, শুভডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাকিম, কাচারি কোয়ালিপাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আয়েন উদ্দিন, মাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসলাম আলী আসকান, আউচপাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরদার জান মোহাম্মদ, সোনাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজহারুল হক, গোবিন্দপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজন কুমার সরকার, বাসুপাড়ায় বিএনপির বিদ্রোহী আব্দুল জব্বার, হামিরকুৎসায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনোয়ার আলী, দ্বীপপুরে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মখলেসুর রহমান দুলাল, নরদাসে বিএনপির মতিউর রহমান মতিন, গনিপুরে বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান রঞ্জু বিজয়ী হয়েছেন। বড়বিহানালী ইউনিয়নের ফল পাওয়া যায়নি।

নাটোরের লালপুরের অর্জুনপুর বড়মাটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সাত্তার, নওগাঁর রায়নগর খত্তেশ্বরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান পিন্টু বিজয়ী হয়েছেন।