ভক্তদের জন্য মুখের হাসি ফেরাতে বদ্ধপরিক দেশের প্রথম স্টার মোহম্মদ আশরাফুল। বিপিএল ফিক্সিংয়ের কারণে গত ২০১৫ বিশ্বকাপে ছিলেন না তিনি। তবে আগামী বিশ্বকাপ ২০১৯ সালে খেলতে মরিয়া ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
মঙ্গলবার মিরপুরের একটি রেস্তোরায় ক্রিকেট সমর্থকদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় দলে ফেরা প্রসঙ্গে এভাবেই বলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
তিনি বলেন, “কোনো সিরিজের চিন্তা আমি করিনি। তবে হ্যাঁ, বিশ্বকাপের স্বপ্ন আমি দেখি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ছিলাম না। তখন সাসপেন্ড ছিলাম। তার আগে তিনটা বিশ্বকাপ খেলেছি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি যেভাবেই হোক পারফরম্যান্স করে আমি ২০১৯ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেব। এটা আমার বিশ্বাস।”
বাংলাদেশ দলের হয়ে আশরাফুল সর্বশেষ আন্তর্জতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৩ সালের ৮মে। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার পরই থমকে যায় তার ক্যারিয়ার। বিপিএলে ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছরের শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৩ আগস্ট। ফলে জাতীয় দলে ফিরতে আর কোন বাধা নেই । ১ অক্টোবর শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। নিজেকে ঝালিয়ে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ। লংগার ভার্সন ক্রিকেটে এখনও ডাবল-ট্রিপল মারার স্বপ্ন দেখেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “ সিলেকশনের ব্যাপারটি অনেকটা আমার উপরেও। আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, জাতীয় লিগে যদি ২০০-৩০০ মারতে পারি কয়েকটা ইনিংসে, তখন হয়ত বিবেচনায় আসবো যে আমাকে দিয়ে আবার হবে।”
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দিনে আশরাফুল ছিলেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে সান-ডে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। লন্ডনে ছিলেন এক মাস। দেশে ফিরে মুক্ত আশরাফুল দেখা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে।
আশরাফুল বলেন, “তার সাথে দেখা করেছি, সে সবসময় ইতিবাচক। ভালো খেললে আমাকে তারা আরেকটা সুযোগ দেবেন, এটা আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ দলে খেলার লক্ষ্য আছে। তবে আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ জাতীয় লিগ। প্রস্তুতি নিচ্ছি দুই মাস ধরে। যেখানেই খেলব, ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। তারপর হয়তবা বিবেচনায় আসব, আমাকে নেবে কী নেবে না।”