‘৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তফসিল’

555

৩০ অক্টোবর পর যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আমরা সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। ভোটার তালিকার সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) প্রস্তুত করে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো ভুলত্রুটি থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।”

‌৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজও শেষ করেছি। ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত রাখা হয়েছে যদি দুর্বিপাকের কারণে অনত্র সরাতে হয়। তফসিল ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সচিব বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭শ’ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে খাতভিত্তিক ব্যয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।”

ইতোমধ্যে অনেক নির্বাচন সামগ্রী ক্রয় করে গুদামজাত করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কেনা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে হিজড়াদের জন্য আলাদা কোনো কলাম থাকবে না। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আগের নিয়মই বহাল থাকছে।”

ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিন ব্যবহারের প্রস্ততিও থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইন সংশোধন হলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এজন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দেশের ৯টি স্থানে এবং নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে দু’দিনব্যাপী ইভিএম মেলার আয়োজন করা হবে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিশেষ করে ফেমবোসা অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তাদের আমরা বিশেষ আমন্ত্রণ জানাবো। নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অনলাইন এবং নিজস্ব সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে “

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “নির্বাচনে আমাদের প্রচুর লোকবলের প্রয়োজন হয়। এজন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোকবল সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে সরকারের কাছে মাঠপর্যায়ে পদ ফাঁকা না রাখতে ইসির নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠকের এজেন্ডায় কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলেছিলেন। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় প্রথমে তিনি বৈঠকে যোগ দিলেও পরে বর্জন করেন। আশা করি আগামী বৈঠকগুলোতে সব কমিশনাররাই উপস্থিত থাকবেন।”

তিনি বলেন, “সংলাপের ওঠে আসা বিষয়গুলোর মধ্যে সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ যেসব বিষয় আমাদের এখতিয়ারভুক্ত সেসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করেছি।”