ফোন কোম্পানির চাকরি ছেড়ে জাতীয় দলে রাব্বি

570

দীর্ঘ ১৪ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে জাতীয় দলের দুয়ার খুলেছে তার। অবশ্য ক্যারিয়ারের একটা সময় খেলা ছেড়ে একটি মোবাইল কম্পানিতে চাকরিও করেছেন তিনি। কিন্তু মনের টানে আবারও ফিরে আসেন ক্রিকেটে। অবশেষে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দেশের হয়ে একাদশে খেলার সুযোগ পেলে নিজের মতো করেই খেলবেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

সোমবার মিরপুরে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম দিনের অনুশীলণ শেষে এমনটাই জানান তিনি।

জাতীয় দলের হয়ে প্রথম দিনের অনুশীলন ও দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, “খুব ভাল লাগছে। আমি খুব উপভোগ করছি, এই সময়টা। খুব বেশি কিছু মনে করতে পারছি না। এই মুহূর্তে আমি শুধু চিন্তা করছি নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে। আমি এত বছর খেলেছি, আমার মোটামুটি প্রমান করা হয়ে গেছে ওই পর্যায়ে। এখানে এসে আমি নতুন করে কিছু করতে পারব না। আমি যেটা পারি, সেটাই করার চেষ্টা করব।”

হতাশ হয়ে ক্রিকেট ছেড়ে মোবাইকম্পানিতে চাকরির বিষয়ে তিনি বলেন, “একটা সময়ে মনে হচ্ছিল আমি সামনেও যাচ্ছি না। আমার পড়াশোনাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি ওই চিন্তা করেছি, অন্য কোন পেশায় যায় কি না। সেই সময় চিন্তা করেছিলাম খেলা ছাড়ার। এরপর কিছুদিন চাকরি করার পর আমি আমার মনকে সায় দিতে পারলাম না। তারপর আবার চলে আসলাম খেলায়। নতুন করে আবার খেলায় মন দিলাম। তখন বন্ধুদের বলেছিলাম, আমি খেলব না। তখন আমার মনে কোন চাপ ছিল না। শেষ পর্যন্ত পারফর্ম ভাল হল। এরপর থেকেই আসলে পরিবর্তনটা শুরু, মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। বুঝেছি চাপ ছাড়া খেললে ভাল খেলত পারব। এখন ওইরকম চিন্তাই করি না খেলা নিয়ে। আমি সেটাই করার চেষ্টা করছি।”

৩০ বছর বয়সে নিজের ফিটনেস নিয়ে বলেন, “এবারের প্রিমিয়ার লীগ ভাল হয়েছিল আমার। আমার মনে হয়েছে ফিটনেসটা যদি আরেকটু ভাল হত, তাহলে আমার রান ৭০০ থেকে ৮০০-৮৫০ রান হতে পারত।  আমার সৌভাগ্য, তখন আমাকে বাংলাদেশ এ দলে ডাকা হয়েছিল। সেখানে দুই আড়াই মাসের মত একটা ফিটনেস ক্যাম্প হয়। ওই ক্যাম্পটা আমাকে খুব কাজে দিয়েছে। আমি খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। ওজন কমিয়েছি। বয়স নিয়ে যেই কথা হচ্ছে, আমি আসলে এসব নিয়ে ভাবি না। আমি যদি ফিট থাকি ও আমার পারফর্মেন্স থাকে তাহলে বয়স কোন বিষয় না।”

চোট আক্রান্ত সাকিবের বদলী হিসাবে দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “রোলটা ঠিক আছে। কিন্তু সাকিব ভাই এর জায়গা তো পুরোণ করা আর কারও পক্ষে সম্ভব না। আমি মূলত ব্যাটিং প্রধান অলরাউন্ডার। ব্যাটিংটা করতে ভালোবাসি। পাশাপাশি আমি দলের প্রয়োজনে বোলিং করতে পারি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই এই রোলটা পালন করার চেষ্টা করব। তবে সাকিব ভাই এর জায়গা নেয়া না, আমি যেটা পারি সেটাই করার চেষ্টা করব।”

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার একদমই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। আমি জানি না জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোন দলের সাথে খেলছি। আমি আমার মতই খেলব, যদি সুযোগ পাই। আমি কার সাথে খেলছি এটা বড় না। কি খেলছি এটাই বড়।”