৩০৪ রানে থামলো জিম্বাবুয়ে

749

সিলেটে দল হারলেও দুই ইনিংসে ১১টি উইকেট শিকার করে অনন্য নজির গড়েন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মঙ্গলবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনেও বোলিং ভয়ঙ্কর ছিলেন এই স্পিনার। তাইজুলের বিষাক্ত স্পিনে বাংলাদেশের করা ৫২২ রানের জবাবে ৩০৪ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস। আগের দিন চোট আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন টেন্ডাই চাতারা। ফলে ব্যাটিং করার অবস্থায় না থাকায় এখানেই থামতে হলো তাদের। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ২১৮ রানে এগিয়ে আছে টাইগাররা।

তাইজুল ইসলাম ৪০.৩ ওভারে ১০৭ রানে পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। এটি টেস্ট ক্রিকেটে ৬ষ্ঠ বারের মতো পাঞ্চম উইকেট শিকার। আগের দিন ৪৯৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে এদিন দারুণ ব্যাট করেছে। ব্রেন্ডন টেইলর তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চেুরি।

দিনের শুরুতেই তাইজুলের বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে ডোনাল্ড ট্রিপানো মিরাজের তালুবন্দি হন। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ১২৮ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৩ করা ব্রায়ান চারিকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। তিন উইকেটে ১০০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় সেশনে আবারও আবারও বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তাইজুল। উইলিয়াসশনকে ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় সরাসরি বোল্ড তিনি। এরপর সিকান্দার রাজাকে শূন্য রানে বোল্ড করেন জাতীয় দলের এই স্পিনার। ৫ উইকেটে জিম্বাবুয়ের দলীয় রান ১৩১।

তবে বিপদের মুহুর্তে টেইলর ও মুর ১৩৯ রানের শক্ত জুটি গড়েন। অবশেষে সেই জুটিতে আঘাত হানেন অভিষিক্ত আরিফুল হক। পিটার মুরকে ফিরিয়ে দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ নেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল আচমকা কাট করে ভেতরে ঢুকে চমকে দেয় মুরকে। দ্রুত ব্যাট নামিয়েছিলেন কিন্তু ব্যাটে খেলতে পারেননি।

আম্পায়ার এলবিডিব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন তিনি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ-মিডল স্টাম্প লাগতো বল। মুরের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে হারায় একটি রিভিউ। ১১৪ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রান করে করেন মুর। ছয় উইকেটে জিম্বাবুয়ের রান ২৭০। ৯৪ রানে জীবন পাওয়া ব্রেন্ডন টেইলর টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এক ওভারে ফিরিয়ে দেন টেইলর ও মাভুটাকে।

দলীয় ২৯০ রানে মিরাজের বলে অসাধারণ ক্যাচ নেন তাইজুল। সাজঘরে ফেরার আগে টেইলর ১৯৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ১১০ রান করেন। একই ওভারে মাভুটাকে শুন্য রানে ফেরান মিরাজ। দিনের শেষ মহুর্তে চাকাভাকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল। রেজিস চাকাভা ৪২ বলে ১০ রান করে মুমিনুলের তালুবন্তি হন।

বল হাতে তাইজুল ৪০.৩ ওভারে ১০৭ রানে একাই পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মিরাজ ২০ ওভারে ৬১ রানে নেন তিনটি উইকেট। আরিফুল হক পেয়েছেন একটি। তবে মুস্তাফিজ ২১ ওভারে ৫৮ রানে কোন উইকেট শিকার করতে পারেনি। এছাড়া অভিষিক্ত খালিদ আহমেদ ১৮ ওভারে সাত মেডেন দিয়ে ৪৮ রানে উইকেট শুন্য।

এর আগে মিরপুরে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হকের ১৬১ ও মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে (২১৯) বাংলাদেশ সাত উইকেট হারিয়ে ৫২২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। দ্বিতীয় দিন শেষে বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ২৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।