ব্যবসা করতে এসে কুইক বেনিফিটেড হওয়ার চিন্তা করা যাবে না— লুৎফর রহমান

672

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান। পরিসংখ্যান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর পাড়ি জমান নরওয়েতে। সেখানে গিয়েও আবার পড়াশোনাই শুরু করলেন। এবার অবশ্য ভিন্ন বিষয়- কম্পিউটার সায়েন্স। মাস্টার্স করেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেখানেই জীবন গড়ে তুলতে পারতেন। তবে তা করেননি। ফিরে এসেছেন মাটির টানে। দেশে তখন তার জন্য চাকরির সব দুয়ার খোলা। নামি দামি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করেছেন ২৫ বছর। তারপরই ছেড়ে দিলেন। উদ্যোক্তা হওয়ার যে স্বপ্ন দীর্ঘদিন লালন করে আসছিলেন, সেটা এবার পুরোদমে জেঁকে বসলো লুৎফর রহমানকে। নিজে কিছু করা আর সেবা দেয়ার মানসিকতা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করলেন কনটেসা সলিউশনস এন্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড।

লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি এমন একটা ব্যবসা খুঁজছিলাম, যেটাতে কেবল নিজেই উপকৃত হবো না, মানুষের উপকারও করতে পারবো। আমি মূলত জব ক্রিয়েট করতে চেয়েছিলাম। সে উদ্দেশ্যেই এ প্রতিষ্ঠানটি খুলেছি।’

ব্যবসার শুরুর দিকটা আর সবার মতো খুব একটা ভালো ছিলো না। তার মতো অভিজ্ঞ মানুষকেও চড়াই উৎরাই পেরুতে হয়েছে অনেকখানি। তবে তিনি দমে যাননি। বরং দ্বিগুণ মনোবল নিয়ে ব্যবসাকে আরও সুন্দরভাবে গোছাতে শুরু করেছেন। তিন বছরের মাথায় তার এ স্বপ্ন সুন্দরের পথেই এগুতে লাগলো।

তিনি মনে করেন, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ধৈর্য নিয়ে মার্কেটে যদি থাকে, তাহলে সেটা একটা সময় একটা ভালো জায়গায় চলে গেছে। ব্যবসা করতে এসে কুইক বেনিফিটেড হওয়ার চিন্তা করা যাবে না। একটা সাসটেইনেবল গ্রোথ চিন্তা করতে হবে। তাহলে একটা সময় কাজ নিজেই ধরা দিবে।’

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মার্কেটে টিকে থাকাটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে মার্কেটে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারলেই সাফল্য আসবে বলে মনে করেন লুৎফর রহমান।

আগামী ১৩ ও ১৪ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক সংগঠন জাবিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কের কার্নিভালে সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ কার্নিভালের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি যার যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিও বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। এই নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে ব্যবসা অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।