বেঁচে থাকলে চার্জশিটে জিয়ার নাম থাকতো

1078

এখন রিপোর্ট।।

বেঁচে থাকলে জিয়াউর রহমানের নাম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে থাকতো। কিন্তু মৃত ব্যক্তির নামে চার্জশিট করা যায়না বলে তার নাম বাদ দিতে হয়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আমি পিপি হিসেবে প্রসিকিউশনে সর্বকনিষ্ট সদস্য ছিলাম। তখন সাক্ষ্যে উঠেছে মোশতাক, তাহের উদ্দিন ও মাহবুব আলম চাষী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে জেনারেল জিয়ার অনুমতি নিয়েছেন। বেঁচে থাকলে এ মামলার চার্জশিটে তাদের নাম থাকতো। কিন্তু তারা মরে যাওয়ায় তাদের নাম বাদ দিতে হয়েছে।

জঙ্গিদের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে আইএস ও আলকায়েদার জঙ্গিদের চরিত্র ভিন্ন। বর্তমান সময়ে ফ্রান্স বেলজিয়াম পাকিস্তানে হামলা হচ্ছে। অথচ নিরাপত্তার কথা বলে ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল বন্ধ করে দেয়। কী সমস্যার মধ্যে আছি।

জঙ্গিদের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক বক্তব্যের বিষয় উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন-জঙ্গি আদালত পর্যন্ত পৌঁছতে দেওয়া হয় না। তাহলে কি জঙ্গিদের আদর করবে?। সারা বিশ্বে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও একই পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটাই উত্তম পন্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা সফল হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আর বাংলাদেশে জঙ্গি খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড.আব্দুল মান্নান চৌধুরী।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, পরিষদের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা.খালেদা খানম, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।