ফেসবুক: প্রসঙ্গ রোজা

1204
ফেসবুক

আবরাম মাহফূজ:

ইসলাম ধর্মের অন্যতম ফরজ হচ্ছে রোজা। এক মাসের এই সিয়াম সাধনার শুরুতে সারাদিন যেমন রোজাদারদের মধ্যে আনন্দ আর অপেক্ষা ছিল; তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিল ব্যাপক সাড়া। মঙ্গলবার সেহেরীর সময় থেকেই অনেকে সেহরীর খাবারের ছবি দিয়ে রোজা উদযাপন শুরু করেছেন। আবার অনেকে এর বিরোধীতাও করেছেন। ফেসবুক এ্যাক্টিভিস্টদের ওয়ালে গিয়ে নানা ধরনের স্ট্যটাসই দেখা গেছে। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য স্ট্যটাস।

যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুন লিখেছেন, রমজান রহমতের মাস । অনেক চোর ডাকাত খুনী বাটপার টাউট ঘুষখোর মিথ্যাবাদী প্রতারক ভন্ড চরিত্রহীন লোভী অাজ থেকে রোজা রাখছে । ওরাওতো রহমতের সুযোগটা নেবে? দুঃখ এটাই ।।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক মানিক মুনতাসির লিখেছেন, রোজার প্রথমদিন।।।আজ বিদ্যুৎ নাই এক ঘন্টা যাবৎ। এখন পানিও নাই।। খালি গ্যাসটাই আছে। এটা দিয়াই ইফতার করমু ভাবছি।

সাইয়েদ নাজমুস সাকিব লিখেছেন, রাতে ঘুমিয়েছি সেহরি করার পরে, ঘড়ির কাঁটায় তখন বাজে চারটা। সকালে উঠলাম আটটায় কারণ অফিস আছে দশটায়। যেতে যেতে দশটা বেজে যাবে বলেই চার ঘণ্টা ঘুমানো। ৫ টায় অফিস শেষ করলাম, প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল প্রথম ইফতার বাসায়ই করব। মৌচাক-মালিবাগ সড়কের উন্নয়নের “প্যাককাদা”, বৃষ্টি, প্রচণ্ড ভিড়ে বাসের যাত্রীদের সাথে “জাতাজাতি”, মিনিমাম ২০ জন মানুষের পায়ের পাড়া খাওয়া, নাম না জানা অনেক ঘর্মাক্ত মানুষের ঘাম নিজের টিশার্টের সাথে মিশিয়ে ফেলে অবশেষে আমি যখন বাসায় পোঁছালাম, তখন ইফতারের সময় ৮ মিনিট পার হয়ে গেছে।

এই অভিজ্ঞতা এত বছরের জীবনে এই প্রথম। আজান হয়ে গেছে আমি আর আমি বাসায় এসেছি ইফতারের আজানের পড়ে, এমনটা এর আগে কখনও হয় নাই। ব্যাপার না, জীবনে সবকিছুর অভিজ্ঞতা থাকার দরকার আছে। রোজা ভেঙ্গেছি বাসে পাশের সিটে বসা একজনের কাছ থেকে পানি খেয়ে।

হেভিং সেইড দ্যাট, ইফতারের আয়োজন ভালই করেছিলেন আমার আম্মাজান। রমজানের প্রথম ইফতারেই নিজের প্রিয় খাবার হালিম খেতে পেরেছি আর হালিমের সবচেয়ে বড় মাংসের টুকরাটা পেয়েছি এবং খেয়েছি 😀

জীবন একদম চোষে না, জীবন চুমু দেয়

বাংলা নিউজের সাংবাদিক মুফতি এনায়েত উল্লাহ লিখেছেন, ওগো মাবুদ! রমজানকে আমাদের জন্য বরকতময় করো। কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দাও। নাজাতের উসিলা বানাও। রমজানকে সহজ করে দাও।

আরএ/এখন/