মির্জা ফখরুলের ভাবনা, দেশের কর্তৃত্ব জঙ্গীবাদীরা গ্রহণ করেছে

1113

এখন প্রতিবেদক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, “ভোটারবিহীন সরকারের নিস্ক্রিয়তায় জঙ্গিবাদী উগ্রপন্থীরা দেশের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে। দেশব্যাপী চলছে বেছে বেছে হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন ভিন্ন মতাবলম্বী ব্লগার, ধর্মগুরু, পুরোহিত, যাযক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদেশী নাগরিক, মসজিদের ঈমাম-মোয়াজ্জিন, পীর ও পীরের শিষ্য, প্রকাশক, পুলিশ সদস্য ও পুলিশ সদস্যের পরিবার।

দলের সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল শাহীন স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন ভোরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ঝিনাইদহের করাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যার প্রতিবাদে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ফখরুল বলেন, গত পরশু দিন চট্টগ্রামে পুলিশ সুপারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যা ঘৃন্য ও কাপুরোষোচিত অমানবিক কাজ। নাটোরের খ্রিষ্টান মুদী দোকানী দানিয়েল গোমেজকে হত্যা নজীরবিহীন এক নৃশংসতা। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের করাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে গলাকেটে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মির্জা ফখরুল মনে করেন, জঙ্গীবাদের মরনঘাতি আঘাতের পৌণ:পুনিকতা এখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকান্ডগুলোর এখন কোন বিরতি নেই। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন জনপদে দানবীয় আক্রমনের শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সংগঠিত জঙ্গীরা দেশের মধ্যেই একের পর এক অভয়ারণ্য তৈরী করে যাচ্ছে এবং তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হওয়ার চেয়ে আরো বেশী পুষ্টিলাভ করছে।

মির্জা ফখরুল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জঙ্গীবাদের ফলে সৃষ্ট দেশব্যাপী রক্তক্ষরণের বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আদৌ কোন ইচ্ছা সরকারের আছে কী না তা নিয়ে জনমনে এক বড় ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারন জঙ্গীবাদ দমনে সরকার এখন পর্যন্ত কোন বিশ্বাসযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে পারেনি।

তিনি বলেন, এদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতার কারনেই সকলের মধ্যেই আতঙ্ক ও ভীতির সীমানা ক্রমাগতভাবে বিস্তার লাভ করছে। উগ্রপন্থীদের হামলা রোধে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরএ/