প্রয়োজনে আবারও ওপেনিং করতে প্রস্তুত মিরাজ

612

দুবাইয়ে এশিয়া কাপ শুরু থেকে সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওপেনিং ভালো জুটি পায়নি বাংলাদেশ। নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল বাঁহাতের কবজির চোট পেয়ে প্রথম ম্যাচেই ছিটকে যাওয়ায়। এরপরই সমস্যা পড়ে বাংলাদেশ। পরে তিন ম্যাচে দুই তরুণ লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত’র ব্যাট থেকে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ এসেছে ১৬ রান।

টুর্নামেন্টের মাঝ পথে দেশ থেকে সৌম্য সরকারকে দুবাইয়ে উড়িয়ে নিয়েও লাভ হয়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় তার ইনিংসের সলিল সমাধি ঘটে। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মহারণে সবাইকে চমকে দিয়ে লিটন দাসের সঙ্গে লোয়ার অর্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে পাঠায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

চমক লাগানো সেই ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের সংগ্রহ। অবশ্য এরপর যারা ব্যাটিংয়ে এসেছে তারা মিরাজ-লিটনের রান বন্যার ধারাবাহিকতাটি ধরে রাখতে পারেননি। তবে মাশরাফি সেই চ্যালেঞ্জের প্রতিবাদ দেন মিরাজ। ফাইনালের আগের রাতে অধিনায়ক মাশরাফি মিরাজকে ওপেনিংয়ে ব্যাট করার প্রস্তাত দেয়। দলের প্রয়োজনে রাজি হন মিরাজ।

ফাইনালে সেই ওপেনিং ব্যাট নিয়ে বুধবার মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে মিরাজ বলেন, “ফাইনাল ম্যাচে ওপেন করেছি, আমিও ভাবিনি আমি ফাইনালে ওপেন করবো। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেছেন, সবাই যারা সিনিয়র আছে সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোনো সময় এমন কিছু হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। কঠিন অবস্থার চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। আর পেছন থেকে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট দেয়, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ায়রা, সবাই যখন ব্যাক আপ করে, তখন নিজের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যায়। ফাইনালের আগের রাতে যখন আমাকে বলা হয় ওপেন করতে হবে, তখন মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই বললো, ‘করতে পারবি, সমস্যা নাই’। তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা বাড়ল।”