পিলখান হত্যাকাণ্ড : ১০ বছর ধরে বুকে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি

690

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার । বনানী সামরিক কবরস্থানে এক তরুণ ও কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে একটি কবরের সামনে দাঁড়ালেন লাঠি হাতে আসা ষাটোর্ধ্ব এক নারী। সেখানে বসে থাকলেন বেশ কিছুটা সময়। কাঁদলেন, দোয়া করলেন তারপর আবার ফিরতে শুরু করলেন প্রধান ফটকের দিকে। ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর চোখে তখন পানি। তরুণ ও কিশোর ছেলে দু’টির চোখে-মুখে বেদনার ছাপ। তারা হাঁটছিলেন ধীর পায়ে। কাছে এগিয়ে গিয়ে কথা বলতেই সেই বৃদ্ধার কান্নার যেন বাঁধ ভেঙে গেলো। কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, ‘আমি এক দুঃখিনী মা, ১০ বছর ধরে বুকে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি। ১০ বছর আগে আমার নিষ্পাপ, নির্দোষ ছেলেকে ওরা মেরে ফেলেছে।’ এভাবেই পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আত্নীয় স্বজনরাও। একে তো হারানোর বেদনা, তারপর বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতা, সব মিলিয়ে আক্ষেপ হতাশা স্বজনদের কণ্ঠে। এ সময় এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তারা। নেপথ্যের নায়করা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আবেদন শহীদেদের স্বজনদের।

এরআগে পিলখানা হত্যাকান্ডের ১০ বছর উপলক্ষে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবত, বিজিবি’র ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব পুষ্প স্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরআর