পাকিস্তানের কাছে ৩০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

688

বৃষ্টির কারণে মাঠ খেলার উপযোগী না হওয়ার ফলে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয়। আজ বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কক্সবাজারে ভেজা মাঠের কারণে দ্বিতীয় মাচটি নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর। ২০ ওভারের খেলা কমিয়ে আনা হয় ১৪ ওভারে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ৮৯ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।

ভেজা মাঠ থেকে সুবিধা নিতে টস জিতে আগে বোলিং নিয় সালমা খাতুনের দল। সকালের সবকিছুই ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে। কিন্তু কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিকেলটা ছিল বাংলাদেশের জন্য ব্যাটিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণের দিন। নিজেদের মাঠে ৩০ রানে অলআউট হয়েছে সালমাদের দল। এতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ৫৮ রানের হার।

এদিন নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়া সালমা খাতুনের দল গুটিয়ে যায় মাত্র ৩০ রানে। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসেই যেটি তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে টিম টাইগার্সের আগের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল ৪৪ রানের। সেটিও পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে। বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তানের মেয়েরা।

বাংলাদেশের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৬ রান এসেছে নিগার সুলতানার ব্যাটে। পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার আনাম আমিন ৩ ওভারে কোনো রান না দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসলে শঙ্কা জাগে মেয়েদের টি-টুয়েন্টির ইতিহাসের সর্বনিম্ন ২৫ রানে আটকে এক নম্বরে উঠে যাবে না তো বাংলাদেশ। শেষ জুটি থেকে ৭ রান এলে সেই শঙ্কা কাটে। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বনিম্ন ২৫ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি তাই মোজাম্বিকেরই থাকল। নামিবিয়ার বিপক্ষে গত আগস্টের ঘটনা সেটি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৬ ওভারে ৪৯ রান তুলে নেয়। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জাভেরিয়া খানকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেয় লতা মন্ডল। এরপরই বদলাতে থাকে দৃশ্যপট। পরে পাকিস্তানকে তিন অঙ্কও ছুঁতে দেয়নি বাংলাদেশ। সালমা খাতুনের দল সফরকারীদের আটকে রাখে ৮৮ রানে। আউটফিল্ড ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরু হয় সোয়া এক ঘণ্টা পর।  ৫ উইকেটে ৮৮ রান তোলে পাকিস্তানিরা। বাংলাদেশের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জাহানারা ও লতা।