পাকিস্তানকে ২৪০ রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা

648

লড়াইয়ে মুশফিক-মিঠুনের ব্যাটে ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ রানে অলআউট হয় মাশরাফির দল।

আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চাপের মুখে নান্দনিক ব্যাটিং উপহার দেন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেনি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১২ রানেই নেই বাংলাদেশের তিন উইকেট। সেই ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে স্কোর বড় করতে সাহায্য করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬০ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় মিঠুনকে। আর মুশফিককে ফিরতে হয় ৯৯ রানের

সেঞ্চুরি না পেলেও ১১৬ বলে ৯ চারে ৯৯ রানের এই ইনিংসটি দলের রান সম্মানজনক অবস্থায় তুলতে সহায়ক হয়েছে। কিন্তু দলীয় ১৯৭ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এর আগে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করতে গিয়ে ৬৮ বলে ৫ চারে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক।

মিথুনের সঙ্গে তার ১৪৪ রানের ইনিংসটিই টাইগারদের ব্যাটিং ইনিংসের মূল ভিত্তি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ রান করে জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ১২ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৩ রান করে বিদায় নেন।

mushi, মুশফিক

এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় শূন্য রানে বিদায় নেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৫ বল মোকাবেলা করে জুনায়েদ খানের বলে শূন্য রানে ক্যাচ আউট হন। সাকিব না থাকায় এ দিন ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে আসেন মুমিনুল। দলীয় ১২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের ৩.৫ ওভারের মাথায় শাহ আফ্রিদির বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি।

পরের ওভারে বিদায় নেন ওপেনার লিটন কুমার। এক ম্যাচ ভালো খেলে আবার হারিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে লিটন। ১৬ বলে ৬ রান করে জুনায়েদ খানের বলে তিনিও সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। এই ম্যাচে জয়ী দল পৌঁছে যাবে এশিয়া কাপের ফাইনালে। সেখানে আগেই অপেক্ষা করছে ভারত।