ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে বাংলাদেশের ওয়াসফিয়া

1073

এখন রিপোর্ট।।

এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরীনকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। গত ৩১ মে চ্যানেলটিতে দেখানো হয়েছে ‘ওয়াসফিয়া’ নামের ছবিটি। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, আইফোন সিক্সএস মোবাইলে এটি নির্মাণ করেছে রায়ট। সার্বিক সহযোগিতায় অ্যাপল।

যুক্তরাষ্ট্রে কলোরাডোর টেলুরাইডে শেরিড্যান অপেরা হাউসে আয়োজিত মাউন্টেন চলচ্চিত্র উৎসবে বৃহস্পতিবার (২ জুন) ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। দর্শকরা এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর মঞ্চে ওঠেন ওয়াসফিয়া। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দারুণ সব ছবি ও ব্যক্তিত্বের ভিড়ে এ বছর উৎসবটির অংশ হতে পেরে আমি অনেক সম্মানিত, অভিভূত ও কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ মাউন্টেন চলচ্চিত্র উৎসব পরিবার, ধন্যবাদ রায়ট, ধন্যবাদ অ্যাপল।’

ছবিটিতে ব্যবহৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আকাশভরা সূর্যতারা’ গানটি গেয়েছেন ফারহিন খান জয়িতা, সংগীতায়োজন করেছেন লাবিক কামাল গৌরব। তাদেরকেও আরেক স্ট্যাটাসে ধন্যবাদ দিয়েছেন ওয়াসফিয়া। আবহ সংগীত করেছেন রেইড উইলিস, চিহাই হাতাকিয়ামা ও নিনোস দু ব্রাজিল।

‘ওয়াসফিয়া’র প্রধান চিত্রগ্রাহক ছিলেন স্ট্যাশ স্লিওনস্কি। পরিচালনায় কুসানাগি। প্রযোজক তালিকায় আছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন, ইনশ্রা সাখাওয়াত রাসেল, হেইলি প্যাপাস, কেলি ক্যান্ডেল ও মলি সুয়েনসন। নির্বাহী প্রযোজক ব্রাইন মুজার ও জন অ্যাগনিউ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে অনেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন। ফেসবুকের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অ্যাডভেঞ্চার’স পেজেও আছে এটি। এখানে প্রায় দেড় লাখ বার দেখা হয়েছে ‘ওয়াসফিয়া’। ইউটিউবে এর হিটের সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি।

বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। এগুলো হলো এভারেস্ট, আকনকাগুয়া, ডেনালি, কিলিমাঞ্জারো, এলব্রাস, ভিনসন ও কার্সটেঞ্জ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব পেয়েছেন তিনি। দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য তাকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা হিসেবে মনোনীত করা হয়।