জেলা প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের মধুখালী, খুলনা এবং বগুড়ার শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০৩ জুন) ভোর থেকে সকাল ১০টার মধ্যে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের মধুখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় অন্য একটি ট্রাকের চালক মোশাররফ হোসেন (৫৫) ও তার সহকারী আপেল (৪৫) মারা গেছেন।
ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার মাঝিবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায়।
কানাইপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুজ্জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা থেকে প্রতিনিধি জানান, খুলনার চালনা-বটিয়াঘাটা সড়কের বরইতলা এলাকায় বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উত্তম (৩৬) ও শিবেন্দ্র (২৬)।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-আর-রশিদ বাংলানিউজকে দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধনকুণ্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২০ জন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকাল সোয়া ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুর পৌর শহরের বালুডাঙার নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে নাজমুল সরকার (৪০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর চৌধুরীপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে বেনজির রহমান (৪৫), দিনাজপুর সদর উপজেলার খোদ মাধবপুর মিস্ত্রী পাড়ার মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে পারভেজ আলম (৩৫), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজলার জোড়বাড়িয়া গ্রামের মালেক উদ্দিনের ছেলে ট্রাক চালক ভোলা মিয়া (৪২), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার চপনঘাট গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে বাস চালক শামীম হোসেন বেলাল (৪০), জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আজিজার রহমানের ছেলে সরোয়ার রহমান (৩৫)। বাকি চার জনের নাম জানা যায়নি।
বগুড়া জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
