ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

1032

এখন রিপোর্ট।।

রাজধানীর ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতা শিহাব রানা আশরাফুল মারধরের শিকার হয়েছেন। প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা কর্মীদের হাতে বুধবার রাতে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার সংলগ্ন বিশ্বাস বিল্ডার্সের সামনে তিনি এ হামলার শিকার হন। এসময় তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 

ঢাকা কলেজে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আশরাফুলের ওপর প্রতিপক্ষ গ্রুপ এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশরাফুল কলেজ ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা। গত ১৬ জুন আশরাফুল গ্রপের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়।

 

একই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে আশরাফুলকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। আশরাফুল জানান, রাতের খাবার খেতে বিশ্বাস বিল্ডার্সের পাশে স্বাদ হোটেলে যান। খাবার শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ হিরণ, শেখ রাসেল, রাসেল মাহমুদ গ্রুপের কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি মাথা ও মুখে আঘাত পান।

 

এ বিষয়ে হিরণ ভূইয়া নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি আগে কিছুই জানতাম না। পরে শুনেছি, আশরাফুল ৮/১০জন কর্মী নিয়ে কলেজে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বিশ্বাস বিল্ডার্সের সামনে অবস্থান নেন। অপরদিকে তার বন্ধু সোহেল রানা আরেকটি গ্রুপ নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয়। এ খবরে জুনিয়র কর্মীদের সঙ্গে আশরাফুলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাকে ধাওয়া দিলে সে চলে যায়।”

 

তবে আশরাফুলকে মারধোর করা হয়নি বলে দাবি করেন হিরণ ভূঁইয়া।

 

এসব বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

 

প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুন ইফতারের সময় আশরাফুল গ্রুপকে ঢাকা কলেজের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। আশরাফুলের ঘনিষ্ট বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল রানাও তখন হামলার শিকার হন। এছাড়াও মোহাম্মদ রুবেল ও রহমতসহ কয়েকজন আহত হন।

 

এ ঘটনায় শেখ রাসেল ও রাসেল মাহমুদসহ ২১জনকে আসামী করে নিউমোর্কেট থানায় মামরা দায়ের করা হয়।

 

এখন/এসএস