চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ

748

পঞ্চম দিনে ব্যাট করা সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। এরই মধ্যে আগের দিন শেষ সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটা চাপে টাইগাররা। তবে এর মধ্যে আশার আলো মুমিনুল হক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দুইজনের ব্যাটে একশ পাড় করেছে বাংলাদেশ দল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে হারিয়ে ১০৩ রান। মুমিনুল ৩৩ আর লিটোন দাস ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৯৭ রানে।

এর আগে গতকাল চা বিরতির পর তিন সেঞ্চুরি, দুই হাফ সেঞ্চুরিতে নয় উইকেটে ৭১৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এর চেয়ে বেশি স্কোর একবারই হয়েছে। সেটিও শ্রীলঙ্কার করা, ২০১৪ সালে ঢাকায় ছয় উইকেটে ৭৩০ রান।

প্রায় তিন দিন ক্লান্তিকর ১৯৯.৩ ওভার বোলিং-ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও তামিম-ইমরুলের ওপেনিং জুটি শুরুটা ভালোই করেছিল। দলীয় ৫২ রানে ইমরুল প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন। তিনি ১৯ রান করেন। চায়নাম্যান সান্দাকানের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৪১ রান করা তামিম। দুই ওপেনারকে হারিয়েই দিন শেষ করার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দিন শেষের এক বল আগে এ ধরনের কন্ডিশনে দলের বড় নির্ভরতা মুশফিক (২) হেরাথের শিকার হন। তাতেই প্রায় চার সেশন ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রথমভাগেই বড় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

গতকাল চা বিরতির পর ১৫ বল খেলেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতে তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের স্কোর টপকে লিড নেয় লঙ্কানরা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন রোশেন সিলভা। চান্দিমাল তুলে নেন ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি। তাদের ১৩৫ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। রোশেন সিলভা ১০৯ রান করে আউট হন। লাঞ্চের আগেই ৬০০ পার হয় শ্রীলঙ্কার স্কোর।

দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই চান্দিমালকে বোল্ড করেন তাইজুল। লঙ্কান অধিনায়ক ৮৭ রান করেন। দ্রুতগতিতে রান তোলা ডিকবেলা ফিরেন ৬২ রান করে। ৩২ রান করা দিলরুয়ান পেরেরাকে ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার বানান সানজামুল। চা বিরতির পর পরপর দুই ওভারে তাইজুল লাকমল (৯) ও হেরাথকে (২৪) ফেরালে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের তাইজুল চারটি, মিরাজ তিনটি, সানজামুল-মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট নেন।

উইকেটে এখনও খুব বড় টার্ন নেই। তারপরও হেরাথ-লাকমলদের সামনে আজ ম্যাচ বাঁচাতে ধৈর্যের পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কারণ পরাজয় ঠেকাতে তারাই শেষ ভরসা। অবশ্য অতীতে পঞ্চম দিনের চ্যালেঞ্জ জয়ে বলার মতো সফলতা নেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তবে নিজেদের সামর্থ্যের সঠিক প্রয়োগ করতে পারলে মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহরা নতুন গল্পও লিখতে পারেন আজ সাগরিকায়।