চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই সংস্কার : প্রধানমন্ত্রী

650

মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে উচ্চ আদালতের আদেশ, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোটা সংস্কার হতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে দরকার হলে অন্যান্য কোটা সংস্কার করা যেতে পারে। এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত দলটির একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নেতাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সভায় কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনার সূত্রপাত করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, নেত্রী এই ইস্যুটির সমাধান হওয়া উচিত। এ আলোচনায় অংশ নেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি কীভাবে সমাধান করবো? আমি তো মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার পক্ষে। ২০০১ সালে আমাকে বিশ্বব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা মানলে আমি ক্ষমতায় আসতে পারতাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস করলে আমার রাজনীতি করার দরকার কী?

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন করাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর তালিকা করে তারা যেন কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।