গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

637

শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে মরক্কোর সঙ্গে ড্র করতে হলো স্পেনকে। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে স্পেনকে গোল করে বাঁচিয়েছেন আসপাস। ২-২ গোলে ড্র করার কারণেই ‘বি’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে স্পেন।

অথচ ম্যাচের দখল ছিল স্পেনের কাছে ৭৫ ভাগ আর মরক্কোর ২৫ ভাগ। গোলে সমান সমান। পুরো ম্যাচে একতরফা খেলেও জিততে পারলো না স্প্যানিশরা। পোস্ট লক্ষ্যে ১৭টি শট নিয়েছিল স্পেন। অন টার্গেট ৫টি। বিপরীতে মরক্কো সব মিলিয়ে শট নিয়েছে ৫টি। অন টার্গেটে ৩টি। ২টিই গোল। স্পেন পাস দিয়েছে সর্বমোট ৭৪০টি। মরক্কো দিয়েছে মাত্র ২৪৩টি।

একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দিল স্পেন-মরক্কো ম্যাচ। সবচেয়ে বেশি নাটকের জন্ম হয়েছে শেষ মুহূর্তে স্পেনের গোলের সময়। ইয়াগো আসপাস গোল দিলেও সেটি বাতিল করে দেয়ার জন্য ফ্ল্যাগ তোলেন লাইন্সম্যান। কিন্তু গোল যেহেতু হয়েছে, সুতরাং, স্পেন ফুটবলাররা রিভিউর আবেদন জানায়। এ নিয়ে রেফারির সঙ্গে কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত রেফারি রেফারেল নিলেন। ভিডিও দেখলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন আসপাস অফসাইড ছিলেন না এবং ওটা গোল।

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) না থাকলে নিশ্চিত, অফসাইডের অজুহাতে গোল বাতিল হতো এবং স্পেনের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতো। কারণ, ওই সময় মরক্কো জিতে যেতো ২-১ গোলে এবং গ্রুপের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ফেলেছে ইরান। সুতরাং, ইরানই উঠে যেতো দ্বিতীয় রাউন্ডে। কিন্তু; শেষ পর্যন্ত কপাল পুড়লো ইরানের। উল্টো গোল ব্যবধান সমান হলেও, মোট গোল সংখ্যায় ১টি বেশি থাকার কারণে স্পেনই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।