‘রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিন’

566

“মিয়ানমার সরকার মুসলমান শুন্য দেশ গড়তে চায়। তাই তারা সেনা বাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের দিয়ে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করছে। বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ বলে বাণী প্রচার করলেও মিয়ানমারের বৌদ্ধরা মুসলমান হত্যাকে মনে করছে পূণ্য। তবুও এই উগ্র বৌদ্ধদের জঙ্গী বলা হয় না। নির্যাতিত মুসলমানরাই আজ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী তকমার শিকার। আমরা জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”

রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল আমানিয়া এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাওলানা মেহেদী হাসান এ আহ্বান জানান। ইসলামী ঐক্যজোটের এ কেন্দ্রীয় নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫ (নবীনগর) আসন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী

তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মগ দস্যু কর্তৃক আরাকানে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপর যে বর্বর গণহত্যা চলছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের কোন বিবেকবান মানুষ এই হত্যাযজ্ঞ মেনে নিতে পারে না। সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের এই জাতিগত নিধনের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবী জানাচ্ছে, তখন আধিপত্য বিস্তারকারী কয়েকটি রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক স্বার্থে মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিয়ে রোহিঙ্গা নিধনে সহযোগিতা করছে। তারা একদিকে জাতিসংঘে ভেটো দিচ্ছে। অন্যদিকে নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাচ্ছে। এসব স্বার্থপর রাষ্ট্রের দ্বিমুখী আচরণ আমাদেরকে ব্যথিত করেছে, আহত করেছে।”

এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আল আমিন মামুন, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, হাফেজ এমদাদুল হক কবির, মোঃ মাসুদুর রহমান দুলাল, ছাত্র খেলাফতের সহ-সভাপতি জাকারিয়া মাহমুদ, সিফাত হোসাইন, হেলাল আহমদ, ফাইজুল ইসলাম শাহরু প্রমুখ।

সভায় মাওলানা মেহেদী হাসান মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুকে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহবান জানান।