এই গরমে ত্বকের যত্ন

1040

আমরা সবাই চাই ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখতে। এজন্য অনেক কিছুই আমাদের মেনে চলতে হবে।

ত্বক পরিষ্কার রাখুনঃ গরমে ত্বক ময়লা হয় সবচেয়ে বেশি। বাইরে থেকে ঘরে এসে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। ব্যবহার করতে পারেন ফেসওয়াস কিংবা স্ক্র্যাব। তাছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালমত মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। সুস্থ ত্বকের জন্য ত্বকের পরিষ্কার হওয়া জরুরি। ত্বকের ধরণ বুঝে ফেসওয়াস এবং ময়েশ্চারাইজার কেনা উচিত। অনেকের ত্বক তৈলাক্ত, আবার অনেকের শুষ্ক। সেদিকে খেয়াল রেখে কেনাটাই উত্তম। বাজারে অনেক রকমের ফেসওয়াস এবং ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম আছে।

প্রচুর পানি পান করুনঃ গ্রীষ্মে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। বাইরের ধুলাবালি এবং সূর্যের তাপমাত্রা প্রচুর ক্ষতি করে ত্বকের। ত্বকের যত্নে পানি পান অপরিহার্য। শুধু ত্বক নয় দেহকে সুস্থ রাখতেও পান করা উচিত প্রচুর পানি। পানি পান ত্বককে মসৃণ ও সতেজ করবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান ত্বককে সজীব করবে, সেই সাথে চুল পরা রোধ করবে, ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করবে। গরমে অনেক সময় ত্বকে চুলকানির সমস্যা হয়, সেই সাথে দেখা যায় র‍্যাশ। মূলত ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে এমনটা হয়ে থাকে। প্রচুর পানি পান এসব সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুনঃ কত রকমের প্রসাধনী সামগ্রীই আমরা ব্যবহার করে থাকি। গ্রীষ্মে অন্যতম জরুরি একটি প্রসাধনী হচ্ছে সানস্ক্রিন। গ্রীষ্মে রোদের তীব্রতা থাকে প্রখর। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন মেখে বের হওয়া ভাল। এতে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে বাঁচবে এবং রোদে পুড়বে না। বাজারে ভ্যাসলিন, লোটাস, গার্নিয়ার ইত্যাদি অনেক রকমের সানস্ক্রিন লোশন রয়েছে। সানস্ক্রিন ত্বকের উপর একটা প্রলেপ তৈরি করে যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে বাঁচায়।

বেশি করে ফল খানঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বক ম্লান হয়ে যায় এবং লাবণ্য হারায়। ত্বকের সুস্থতার জন্য খাদ্যাভ্যাসেও কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকমের ফল ও শাকসবজি রাখা উচিত। সেই সাথে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভাঁজা পোড়া এবং তৈলাক্ত খাবার। মিষ্টি জাতীয় খাবারও কম খাবেন। ভিটামিন ই এবং সি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। সামান্য কিছু পরিবর্তনই আমাদের মসৃণ এবং লাবণ্যময় ত্বক উপহার দিতে পারে।

মডেল : কামরুন্নাহার ডানা