অডিটিং নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে

734

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, অনেকেই অডিটিং নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, “খাতভিত্তিক অডিট প্রতিবেদন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিতকরণসহ তা প্রতিরোধে গবেষণা করছে দুদক।”

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিরীক্ষা আপত্তি ও দুর্নীতির সংযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপর কমিশনের প্রথম গবেষণা কার্যক্রমের বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় গবেষক ড. মো. নুরুজ্জামান তার গবেষণার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, “এসব সংস্থার কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত প্রতিটি অডিট আপত্তিসহ সামগ্রিক অডিট কার্যক্রমে যে সব দুর্নীতি বা অনিয়মের উৎস উন্মোচিত হয় অথবা যেসব দুর্নীতির উৎস অজানা থেকে যায়, এগুলো ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন,  অন্যান্য রিসার্চ টুলস ও টেকনিক ব্যবহার করে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির উৎস উন্মোচন করতে হবে। একই সঙ্গে তা প্রতিরোধ ও দমনে সুনির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে না দুদক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা, পদ্ধতিগত সংস্কার, জনগণের অর্ন্তভুক্তিমূলক অভিগমন এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুদক কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুমুখী পদ্ধতি পরিচালনা করছে।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন- দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান, গবেষক ড. মো. নুরুজ্জামান।