তিন মাসের জন্য ক্রিকেট খেলতে পারছেন না সাকিব

768

দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরার পর সাকিবের আঙ্গুলের ব্যাথা বাড়ে। বেশ ফুলেও যায়। তাই জরুরিভিত্তিতে ডাক্তার দেখান। তার হাতের অবস্থা দেখে ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গেই সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন। সার্জারি করে আঙ্গুলের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বের করেন। পুঁজ বের করার পর সাকিব ভালো বোধ করছেন।

অবশ্য তাকে আরো একটি সার্জারি করাতে হবে। সেই সার্জারি করার জন্য কমপক্ষে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর সেরে উঠতে লাগবে আরো ৮ সপ্তাহ। সব মিলিয়ে পরবর্তী তিন মাস সাকিব আল হাসান আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারছেন না।

এ বিষয়ে সাকিব বলেন, “পুঁজ বের করার পর আমি ভালো বোধ করছি। কিন্তু ইনফেকশন পুরোপুরি না সারলে পরবর্তী সার্জারিটা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমাকে আরো ২ থেকে ৩ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। সার্জারির পর সেরে উঠতে আরো আট সপ্তাহ সময় লাগবে। সব মিলিয়ে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আমি আর খেলতে পারছি না।”

সাকিবের আঙ্গুলে যে সংক্রমণ হয়েছে সেটা বাংলাদেশ দলের ফিজিও তিহান চন্দ্রমোহন বুঝতে পারেননি। কিন্তু সাকিব বিষয়টি টের পেয়েছিলেন আরো ১৪-১৫ দিন আগেই। আরও কিছুদিন দেরি হলে সাকিবের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারত। এমনকী এই হাত দিয়ে খেলা তো দূরের কথা কোনো কাজই করতে পারতেন না। অবশ্য এটার জন্য সাকিব ফিজিওকে পুরোপুরি দোষারোপ করতে রাজি নন।

তিনি বলেন, “আমার আাঙ্গুলের এমন অবস্থা গেল ১৪-১৫ দিন ধরে। বৃহস্পতিবার ডাক্তার আমার আঙ্গুল দেখেই অবস্থাটা বুঝে ফেলেছেন। কিন্তু আমাদের ফিজিও কিন্তু সেটা বুঝতে পারেননি। এটা সত্য যে ফিজিও সমস্যার গভীরতাটা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেহেতু এখানে একটা ভুল হয়েছে সেহেতু কিছুটা দায় তার উপরও পড়ে। কিন্তু আমি তাকে পুরোপুরি দোষারোপ করব না। আসলে কেউ জানত না যে এটা সংক্রমিত হবে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর সাকিব এশিয়া কাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ফিজিও তাকে যখন বললেন যে এই হাত নিয়ে খেললে খুব একটা সমস্যা হবে না। তখনই সাকিব এশিয়া কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সাকিব বলেন, “বিসিবি সভাপতি আমাকে বলেছেন যে তুমি এশিয়া কাপ খেলতে যাবে নাকি সার্জারি করাবে সেটা তোমার ব্যাপার। সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে। তখন আমি ফিজিওকে জিজ্ঞাসা করি যে এই হাত নিয়ে খেললে কতোটা সমস্যা হতে পারে? তিনি আমাকে বলেছেন খুব বেশি খারাপ কিছু হবে না। তখন সিদ্ধান্ত নিই যে যেহেতু এশিয়া কাপটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমি ব্যাথা নিয়েই ৪-৫টা ম্যাচ খেলব।”