অঙ্কনের বৈশাখ

1687

হাসান ওয়ালীঃ বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব পয়লা বৈশাখের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে চলবে নানা আয়োজন। বিশেষ দিন মানেই বিশেষ গান, কনসার্ট। কনসার্টে শিল্পীদের গানে মুগ্ধ হবেন শ্রোতারা। বৈশাখে শিল্পীদেরও তাই দম ফেলার ফুরসত নেই। শ্রোতাদের গান উপহার দিতে প্রস্তুত তাঁরা। সময়ের জনপ্রিয় ফোকশিল্পী অনন্যা ইয়াসমিন অঙ্কনও দিনটি সাজিয়েছেন বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

অঙ্কনের ব্যস্ততা ১৩ই এপ্রিল থেকেই শুরু। চৈত্র সংক্রান্তির এইদিনে দীপ্ত প্রভাতী অনুষ্ঠানে সকাল ৮টায় গান শুনাবেন দর্শকদের। এবং রাত ১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চ্যানেল আই-এর বাউল উৎসবে গান গাইবেন আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান-২০১৫ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার আপ অঙ্কন।

বৈশাখের সকালে এস এ টিভিতে ‘চলো যাই বৈশাখী আড্ডায়’ থাকবেন জনপ্রিয় শিল্পীদের সাথে। সন্ধ্যার পরে যোগ দেবেন গাজীপুরের বৈশাখের কনসার্টে।

১৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে অঙ্কনের বৈশাখের ব্যস্ততা।

বৈশাখের ব্যস্ততা নিয়ে অঙ্কন বলেন, বৈশাখ জুড়ে দর্শকদের সাথে থাকতে পারছি এটাই আমার জন্য আনন্দের।

onkon4

বাবার প্রতিষ্ঠিত মহানন্দা সংগীত নিকেতনে শিক্ষাজীবন শুরু করেন অঙ্কন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। বিশেষ করে লোকসংগীতের প্রতি তার গভীর অনুরাগ আজও রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫ প্রতিযোগিতায় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন।

২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক সংঙ্গীতে প্রথম স্থান এবং একই বছর পদ্মকুড়ির জাতীয় শিশু-কিশোর-যুব প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০০৮ সালে একই প্রতিযোগিতায় আবার জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০০৭ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন ও ২০০৯-এর জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক ও লোকসংগীতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্ণপদক পান তিনি। একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক।

ভারতের কলকাতায় জি বাংলা সা-রে-গা-মা-পা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছেন অঙ্কন। এছাড়া আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০১৪-২০১৫-তে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারে লোকসংগীতের নিয়মিত শিল্পী।