সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রমজান মাস উপলক্ষে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করা ও চলার পথ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে অভিযানের শুরুতেই মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের সামনের পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে বসা ফলের দোকান, কনফেকশনারির দোকানের ফ্রিজ ও অন্যান্য মাল তুলে দেওয়া হয়।
এসময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফুটপাত দখল করে নির্মিত ‘জান্নাত হোটেলের’ পাকা চুলা ভেঙে ফেলাও শুরু হয়। অবশ্য কর্মকর্তারা অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যস্ত হয়ে পড়লে চুলা ভাঙার কাজ থামিয়ে দেন হোটেলটির কর্মচারীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক কর্মকর্তা অজিউর রহমান বলেন, “আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। অভিযানটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রয়োজনে কয়েকদিন পর আবার এখানে অভিযান চালানো হবে।”
অভিযানে অবৈধ দখলের দায়ে আরও দুটি দোকানকে ২০ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অনুমোদনহীন একটি মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সুপার শপ মীনা বাজারকে জরিমানা করার প্রসঙ্গে অজিউর রহমান বলেন, “যে কোনো সিগারেটের বিজ্ঞাপন হয়- এমন প্রদর্শনী দোকানে রাখা আইনে অপরাধ। কিন্তু মীনা বাজার বড় ধরনের বিজ্ঞাপন টানিয়ে রেখেছিল। একারণে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা।
“গরুর মাংস হিমায়িত করার নিয়ম না থাকলেও তারা এমনটি করছিল। এই অপরাধে ভোক্তা আইনের ৪৩ ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
মীনা বাজারের এই শাখার ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মুসা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিগারেটের মোড়কের গায়ে এর ক্ষতির ছবি ছাপানোর পর তা প্রদর্শন করা যাবে বলে আমরা মনে করেছিলাম। আর সব মাংস প্রদর্শনীতে রাখা সম্ভব নয় বলে কিছু মাংস হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল।”