মেয়র আইভী অসুস্থ

ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি

698

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী অসুস্থ হয়ে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে অসুস্থ হয়ে পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেয়র আইভী।

নগর ভবনের চিকিৎসক মেয়রের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মেয়রকে দ্রুত রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

জানা যায়, একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়র আইভী এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।

মেয়র আইভীর ভাই আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল সাংবাদিকদের জানান, বিকেল ৩টার দিকে মেয়র আইভী নগর ভবনের দপ্তরে একজন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নগর ভবনের চিকিৎসক তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। তাঁর শরীরে রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় মেয়র বমি করেন। পরে মেয়র আইভীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ল্যাব এইডের চিকিৎসক বরেণ চক্রবর্তী জানান, মেয়র আইভী এখন শঙ্কামুক্ত। তবে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

ivy-hospital

ল্যাবএইডে হাজির থেকে মেয়র আইভীর চিকিৎসার দেখভাল করছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আইভীর চিকিৎসার সার্বিক বিষয় দেখছি। সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে  মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ প্রায় ৩০০ ফাঁকা গুলি ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বুধবার পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি। এ ঘটনার জন্য তারা একে অপরকে দায়ী করেন।