পেনশন পাবেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও

652

সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় এবার বেসরকারি চাকরিজীবীরাও পেতে যাচ্ছেন পেনশন। এরইমধ্যে বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রস্তাবিত `সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি`র খসড়া কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়া কাঠামোতে কীভাবে এ ব্যবস্থা পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে বিশদ রূপরেখা তুলে ধরা হবে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এটি বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ঘোষণা দেবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি খাতে সবাই যেন পেনশন পান, এমন স্বপ্ন দেখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার এই স্বপ্ন প্রথমবারের মতো প্রতিফলিত হয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায়। দুই বছর পার হলেও এটি শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যেই রয়েছে। এ সময়ে দৃশ্যমান তেমন কিছু করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। এ নিয়ে তার আক্ষেপও রয়েছে। তবে এবার তার শেষ বাজেটে সেই স্বপ্ন রূপায়ণের প্রচেষ্টা থাকবে।

এ পদ্ধতি কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি খাতে যারা চাকরি করেন, মাসিক পেনশন সুবিধা পাবেন তারাও। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের কাজ আগামী অর্থবছর থেকে শুরু হবে। দীর্ঘমেয়াদি এ পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ কার্যকর হতে কমপক্ষে তিন-চার বছর সময় লাগবে। তারপরই এর সুফল মিলবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, আগে সিদ্ধান্ত ছিল সরকারি চাকরিজীবীরা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় থাকবেন। এখন সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শুধু বেসরকারি চাকরিজীবীদের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয় নতুন করে। এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবিত খসড়া কাঠামোতে সুবিধাভোগীর আওতা ব্যাপক বাড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়ায় বেসরকারি খাতের প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল চাকরিজীবীকে এ আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া গরিব জনগণ যারা নিয়মিত আয় করেন, তারা যেন সুবিধা পেতে পারেন সে ব্যবস্থা থাকছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতির উদ্যোগ ভালো, তবে বাস্তবায়ন কঠিন হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, প্রস্তাবিত পেনশন তহবিল হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। অর্থাৎ চাকরিজীবী ও নিয়োগ কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ তহবিলে অর্থ জোগান দেবে। এর পরিমাণ হতে পারে চাকরিজীবীর মূল বেতনের শতকরা ১০ ভাগ। অন্যদিকে, সমপরিমাণ টাকা দেবে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। সরকারি এবং বেসরকারি খাতে একই নিয়মে তহবিল গঠন করা হবে। প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থার আওতায় পেনশনভোগীর বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ নির্ধারণ করা হতে পারে।