ঝটপট নাশতায় কর্মজীবী নারীর সকাল

695
মডেল: সুলতানা আসমা

এখন লাইফস্টাইল ● সকালের নাশতা নিয়ে কর্মজীবী নারীদের কম ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় না। অফিসের জন্য রেডি হতেই লেগে যায় অনেক সময়। পরিবারের আর সবার আগেই জাগতে হয় ঘুম থেকে। বাড়ির অন্যসব কিছু গুছিয়ে তারপরই সাধারণত নারীদের বেরুতে হয় কাজে। এতোসব ব্যস্ততার ফাঁকে কিন্তু নাশতার কথা ভুলে গেলে চলবে না। সকাল সকাল খালি পেট নিয়ে বেরুলে শারিরিক নানা সমস্যা যেমন দেখা দিতে পারে, তেমনই দূর্বলতাও ভর করতে পারে। সুতরাং কাজে বেরুনোর আগে ঝটপট নাশতা সেরে নিতে একদমই ভোলা যাবে না। তবে স্বাস্থ্যকর নাশতা গ্রহণ করলে চনমনে একটি সুন্দর দিন শুরু হতে পারে।

তবে নাশতা ঝামেলা পোহাতে গিয়েই অনেক নারী নাশতা না খেয়ে বেরিয়ে যান। ঝামেলাহীন কয়েকটি স্বাস্থ্যকর নাশতার টিপস আজ আপনাদের জন্য দেয়া হলো। ট্রাই করে দেখতে পারেন, দিনটি ভালোই কাটবে।

রুটি-সবজী
রুটি তৈরি করে রাখতে পারেন রাতেই। ফ্রিজে রেখে দিলে সকালে কেবল প্যান করে নিতে পারেন। আর সবজীও তৈরি করে নিতে পারেন রাতের খাবার তৈরির সময়। ফ্রিজ থেকে বের করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে নিয়ে চটজলটি পেটে চালান করে দিতে পারেন। সবজী শরীরের পুষ্টি চাহদিা তৈরি করে খুব সহজে। আর রুটির কম ক্যালরিতে বেশ ফাইবার (আঁশ) ও মিনারেল (খনিজ পদার্থ) সরবরাহ করে। তাছাড়া রুটি একই সঙ্গে সহজপাচ্য ও দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে রুটি খেলে কম ক্ষুদা লাগে। তবে রুটি না খেলেও সবজী খেতে একদম ভুলবেন না। শরীরের অনেকখানি পুষ্টির জোগান সবজী থেকেই পাবেন।

তাজা ফল
তাজা ফল থাকতে পারে সকালের নাশতার তালিকায়। ঝামেলাহীন ফ্রেশ ফল একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর অন্যদিকে তৈরির কোনো ঝক্কিই নেই। কেবল পানিতে ধুয়ে পছন্দমতো কেটে পেটে চালান করে দিতে পারেন। সজীবন সকালেই মতোই সকালের নাশতা দীর্ঘসময় আপনাকে চনমনে করে রাখবে।

জুস
সকালের নাস্তায় থাকতে পারে ফ্রেশ ফলের জুস। একাধিক ফলের জুস না খেলেও পছন্দের যেকোনা একটি ফলের জুস রাখতে পারেন। এছাড়া নাস্তায় দুধ বা দুগ্ধজাত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকাটা ভালো। সেক্ষেত্রে কিছু দুগ্ধজাত খাবার যেমন কাস্টার্ড, পুডিং, স্মুদি বা সুজি ইত্যাদি খেতে পারেন।

ডিম
সহজলভ্য খাবার ডিম। বয়েল করতে খুব একটা ঝামেলা হওয়ার কথা না। পোজ করেও নিতে পারেন ঝটপট। ১০ মিনিটের মধ্যেই একটি ডিম তৈরি করে সকালের নাশতা সেরে নিলে অনেকটা সময় শরীরের পুষ্টির জোগান দিবে। এছাড়া ডিম স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ, কোলেস্টেরল-এর চাহিদা পূরণ সহ আরো অনেক উপকার করে। সিদ্ধ, পোজ, ভাজি কিংবা রান্না যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ডিম খেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, যারা জটিল কোনো রোগে ভুগছেন কিংবা যাদের ওজন বেশি তারা ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবে।

তবে সাবধান!
সকালের নাশতায় অনেকেই প্যাকেটজাত কিংবা ফ্রোজেন খাবার খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই উন্নতমানের কোনো কোম্পানির খাবার খাবেন। খাদ্য উপাদান দেখে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খুবই ভালো। তবে, এসব খাবার এড়াতে পারলেই খুব ভালো। সকালের নাশতায় বাইরের প্যাকেটজাত খাবার ত্যাগ করার পাশাপাশি ভাজা-পোড়া, বিশেষ করে সিঙ্গাড়া সমুচা খাওয়া থেকে দূরে থাকাই উত্তম।