গুহায় আটকা ফুটবলারদের উদ্ধারে ‘কয়েক মাস’ লাগতে পারে

804

৯ দিন ধরে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকে পড়া শিশুদের একটি দলের ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিশুদের জীবিত পাওয়া গেছে। কিন্তু গুহা থেকে বের করে আনতে হলে শিশুদের সাঁতার শিখতে হবে অথবা বন্যার মওসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সোমবার আটকে পড়া শিশুদের জীবিত বলে সন্ধান পাওয়া গেছে। উদ্ধারকর্মীরা এখন পানি বাড়িয়ে তাদের খাবার সরবরাহের চেষ্টা করছেন। সেনাবাহিনীর মতে, আটকে পড়াদের জন্য অন্তত ছয় মাসের খাবার পাঠাতে হবে।

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই এলাকায় নিয়মিত বন্যা হয়। সাধারণ সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর পর্যন্ত বন্যা স্থায়ী হয়। এর আগে যদি শিশুদের বের হয়ে আসতে হয় তাহলে তাদের সাঁতার শিখতে হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, অনভিজ্ঞ সাঁতারুদের কর্দমাক্ত ও অন্ধকারে সাঁতরে বের হয়ে আসাটা বিপজ্জনক হতে পারে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পানি কমানোর উদ্যোগ সফল হয়নি। ফলে যদি শিশুরা বন্যা কমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাহলে সেখানে তাদের কয়েক মাস থাকতে হবে। সেখানে নিয়মিত খাবার ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাতে হবে। আগামী দিনগুলোতে চিকিৎসকরা চেকআপের জন্য যাবেন।

২৩ জুন স্থানীয় সময় বিকেলে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহায় প্রবেশ করেন। প্রবল বৃষ্টিতে গুহার প্রধান প্রবেশপথ রুদ্ধ হলে তারা আটকে পড়ে। এরপর থেকেই তাদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছিল। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গুহার যে চেম্বারে এসব শিশুরা আটকা পড়ে আছে এরইমধ্যে থাই নৌবাহিনীর একটি দল তার ৫০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছেছে।

এর আগে চিয়াং রাইয়ের গভর্নর নারোংসাক অসোত্তানাকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, নৌবাহিনীর একটি দলের জীবনের স্পন্দনসহ নিখোঁজ ১৩ জনের সন্ধান পেয়েছেন। তিনি জানান, যতক্ষণ তারা নড়ার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে ততক্ষণ আমরা তাদের খেয়াল রাখবো। তাদের কাছে খাবার আর ডাইভ দিতে জানা ডাক্তারও পাঠানো হবে। তবে দীর্ঘ দিন না খেয়ে থাকা তারা কিছু খাওয়ার মতো অবস্থায় আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।