সুযোগ পেলে বই লিখবো: ডিআইজি মনির

1531

কখনো সুযোগ পেলে আর লেখার মতো মানসিকতা থাকলে বই লেখার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। বইমেলায় দাঁড়িকমার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে এখন-কে এমন আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।

পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হলেও বই পড়ায় তার আগ্রহ অনেক। ছোটবেলায় থ্রিলার বইয়ের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকলেও এখন পড়ায় প্রাধান্য দেন একাডেমিক ও বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধের প্রতি। উপন্যাস ও গল্পের মধ্যে যেগুলোতে তথ্য ও বার্তা থাকে, সেগুলোই বেশি পড়েন। সময় পেলেই ছুটে আসেন বইমেলায়। এ স্টল থেকে সে স্টলে ঘুরে কেনেন পছন্দের বই।

এখন-কে তিনি জানান, ১৯৮৬ সালে প্রথম বইমেলায় আসেন। তখন বাংলা একাডেমিতেই মেলা সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে এখন সে দৃশ্যের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তখন মানুষের অনেক ভীড় থাকতো, গল্প করা আর আড্ডা দেয়ার কোনো জায়গা ছিলো না। এখন বইমেলার পরিধি অনেক বেড়েছে। লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের এক ধরণের মিলনমেলায় এখনকার মেলা পরিণত হয়েছে।

মেলার পরিবেশ নিয়ে ডিআইজি মনিরের মন্তব্য, একসময় মেলার চারপাশে অনেক খাবারের দোকান ছিলো। হকারের উৎপাত ছিলো। মানুষের গাদাগাদিও ছিলো। বাংলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা মেলাকে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মেলা সম্প্রসারণ করার ফলে। মেলার এ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ফলে এখন আর বইমেলায় অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটার আশঙ্কা নেই।

নিজের বই লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে কাজ করার সুবাদে অনুসন্ধানের বিস্তর অভিজ্ঞতা তার হয়েছে। ক্লু-লেস অনেক ঘটনা খুঁজে বের করার মতোও কাজ করতে হয়েছে তাকে। এমন অনেক রহস্য উদঘাটন করার সুযোগ হয়েছে, যেগুলো গল্পকেও হার মানায়। তবে ভষিষ্যতে কখনো লেখার সুযোগ পেলে তিনি লিখবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি ক্রিমিনোলজির উপর একাডেমিক বই লিখছেন। যে বইয়ে এশিয়া ও ইউরোপের জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে নানা বিষয় তুলে ধরা হবে। সম্পূর্ণ ইংরেজিতে করা বইটির লেখাও প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা যায়।

মেলায় এসে দাঁড়িকমার স্টলে সাংবাদিক কাজী জামশেদ নাজিমের উপন্যাস ‘একটি গল্পের গল্প’ কেনেন ডিআইজি মনির। বইটি প্রসঙ্গে তিনি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘নবীন লেখক হিসেবে নাজিম ভালো লিখেছে। তার উপন্যাস পাঠককে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’

পরে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।IMG_6974