শুল্কমুক্ত আমদানি তবুও বাজার চড়া পেঁয়াজের বাজার

1163

যশোর প্রতিনিধি।।

রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিকারকদের আগে ভাগেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। কিন্তু, সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা সে তথ্য গোপন করে প্রতিদিনই বাড়াচ্ছেন পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজার খানিকটা স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা বাজারে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।

পেঁয়াজ আমদানির সবচেয়ে বড় পয়েন্ট হচ্ছে বেনাপোল স্থল বন্দর। সেই বন্দরের আশেপাশের বাজারগুলোতে দেখা গেছে ৫ দিনের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। স্থানীয় শার্শা উপজেলার খোলা বাজারে ৫ দিন আগে যে পেঁয়াজ পাওয়া যেতো কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে, সোমবার তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২২ টাকায়।

পেঁয়াজের এই দাম বাড়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা।

ভোক্তারা বলছেন সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা এক অপরকে দুষছেন।

.

 শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের স্বপ্না ভাণ্ডারের মালিক সোহাগ হোসেন জানান, তারা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন ১৬ টাকায় আর তা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করছেন ১৭ টাকায়। কিন্তু, খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি লাভ করাতে বাজারে পেঁয়াজের দামি বেশি।

অন্যদিকে বেনাপোলের কাঁচা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রাশেদ আলী বলেন, তারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯ টাকায় ক্রয় করছেন। এরপরেও খরচ আছে। তাই ২২ টাকায় বিক্রি করছেন।

.

 বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জমির উদ্দিন জানান, ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজের ওপর ২৩ টাকা হারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ভ্যাট আদায় করে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করে থাকেন। শুল্ককর প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি মাসে আমদানি বেড়েছে ৩ থেকে ৫ গুণ।

কাস্টমস সূত্র জানায়, আগে আমদানিকারকরা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হতো। গত মে মাস থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধায় বেনাপোল দিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজের আমদানিতে খরচ পড়েছে কেজি প্রতি ১১ থেকে ১২ টাকা।

এখন/এসএস