মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনবেন এরদোগান

1011
This handout picture taken and released by the Turkey's Presidential Press Service on August 7, 2016 at Yenikapi district of Istanbul shows Turkish President Recep Tayyip Erdogan (R) and his wife Emine Erdogan greeting people during a rally held to protest against the July 15 failed coup. Hundreds of thousands of people gathered in Istanbul today for a pro-democracy rally organised by the ruling party, bringing to an end three weeks of demonstrations in support of President Recep Tayyip Erdogan after last month's failed coup. / AFP PHOTO / TURKISH PRESIDENTIAL PRESS OFFICE AND AFP PHOTO / STR / RESTRICTED TO EDITORIAL USE - MANDATORY CREDIT "AFP PHOTO / TURKEY'S PRESIDENTIAL PRESS SERVICE " - NO MARKETING - NO ADVERTISING CAMPAIGNS - DISTRIBUTED AS A SERVICE TO CLIENTS

অনলাইন ডেস্ক।।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, তুরস্কের সংসদ চাইলে তিনি দেশটিতে আবারও মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনবেন।

রোববার ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

দেশটিতে গত মাসে যে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়, তারই প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

এরদোগানের বক্তৃতার সময় সমবেত মানুষ জাতীয় পতাকা নেড়ে তাকে সম্ভাষণ জানায়।

এরদোগানের সমর্থক ছাড়াও ধর্মীয় নেতাদের অনেকে এবং দেশটির অন্তত তিনটি বিরোধী দলের সমর্থকরা এ সমাবেশে যোগ দেয়।

সমাবেশে এরদোগান ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসলামিক বোদ্ধা ফেতুল্লাহ গুলেনসহ তার সকল সমর্থকদের তিনি তুরস্ক থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।

গত মাসের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক সরকার। অবশ্য এ অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে গুলেন।

বক্তৃতার এক পর্যায়ে এরদোগান জানান, দেশের মানুষের সমর্থন পেলে এবং সংসদ অনুমোদন করলে তিনি আবারও মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনবেন।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপে বা ইউরোপীয় কাউন্সিলে মৃত্যুদণ্ড নেই। কিন্তু, আমেরিকায় এটি আছে। জাপান, চীনসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এটি আছে। সুতরাং তুরস্কের মানুষও এটি পেতে পারে।’

এরদোগান বলেন, ‘১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এটি আমাদের ছিল। আর সার্বভৌমত্বের মালিক জনগণ। ফলে জনগণ যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে রাজনৈতিক দল সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করবে।’

তুরস্কের অভ্যুত্থান চেষ্টার পর ফেতুল্লাহ গুলেনের হাজার হাজার সমর্থক চাকরি হারিয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন।

১৫ জুলাইয়ের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে প্রায় ২৭০ জন নিহত হয়। তুরস্কের টালমাটাল এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কট্টর অবস্থানকে অবশ্য সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।

এখন/ টিটি