মিঠুন ও বনিকে বিয়ে, ছাপ পড়েনি অভিনয়ে

1097
মিঠুন ও বনি

দক্ষিণী সিনেমা থেকে বলিউডে পা দেওয়ার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শ্রীদেবীকে। অভিনয় জীবনে একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন। এহেন শ্রীদেবীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল কিছুটা বিতর্ক। যার সূত্রপাত মিঠুন-শ্রীদেবীর বিয়ে নিয়ে। এবং পরবর্তী সময়ে বর্তমান স্বামী বনি কপূরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও কম চর্চা হয়নি।

শোনা যায়, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ১৯৮৫ সালে বিয়ে হয় শ্রীদেবীর। যদিও মিঠুন তখন বিবাহিত। ১৯৭৯ সালেই বাঙালি এই অভিনেতা বিয়ে করেছিলেন যোগিতা বালিকে। বিবাহিত মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর বিয়ের সত্যতা নিয়েও অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। যদিও, উইকিপিডিয়াতেও শ্রীদেবী এবং মিঠুনের বিয়ের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৮৮ সালে অবশ্য এই বিয়ে ভেঙে যায়।

শ্রীদেবীর দ্বিতীয় বিয়েও বেশ বিতর্কিত। শোনা যায়, বনি কপূরের প্রথম স্ত্রী মোনা কপূরের বন্ধু হিসেবে তাঁদের বাড়িতে থাকতেন শ্রীদেবী। তখনই বনির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। শেষ পর্যন্ত মোনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় বনি কপূরের। ১৯৯৭ সালে তিনি বিয়ে করেন শ্রীদেবীকে। এর পর থেকে অবশ্য একসঙ্গেই ছিলেন দু’জনে। কয়েক বছর আগেও একটি সাক্ষাৎকারে বনি বলেছিলেন, শ্রীদেবীকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি।

বিবাহিত জীবনের এই বিতর্ক অবশ্য শ্রীদেবীর অভিনয় জীবনে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। তাই নায়িকা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় দু’দশক দর্শকদের মন জয় করার পরে ২০১২ সালে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’, ‘মম’ (২০১৭) ছবিতে তাঁর অভিনয়ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। অভিনেতা সতীশ কৌশিকের কথা, শ্রীদেবী ছিলেন একজন সম্পূর্ণ অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের শীর্ষে থাকার সময়ে তাই শ্রীদেবীর তুলনা করা হত অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। বলা হত অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অমিতাভ বচ্চন। এতটাই উন্মাদনা ছিল তাঁকে ঘিরে।