মারা গেছে সেই মুক্তামনি

865

রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন। বুধবার (২৩ মে) সকাল ৭টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতে সে মারা যায়।

মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম মৃত্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার এক মাস পরেই আবারো চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শিশুটির এমন দুর্দশা দেখে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছিলেন স্বজনরা

২০১৭ সালের ১২ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয় মুক্তামনি। প্রথমে তার রোগটিকে বিরল রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বায়োপসি করে জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে। তখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। মুক্তামনির সব রিপোর্ট দেখে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ঢামেকের চিকিৎসকরাই তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে মুক্তামনির চিকিৎসার সব ধরনের খরচের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তামনির হাতে ৫ আগস্ট প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। তার হাতের ফোলা অংশ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেন চিকিৎসকরা। পরে দুই পায়ের চামড়া নিয়ে দু’দফায় তার হাতে লাগানো হয়। ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ একদল চিকিৎসক মুক্তামনির স্কিন গ্রাফটিং (চামড়া লাগানো) অপারেশনে অংশ নেন। পরে মুক্তামনির হাত আবার ফুলে যাওয়ায়, ফোলা কমানোর উদ্দেশ্যে হাতে প্রেসার ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়।

মুক্তামনি ঢামেক হাসপাতালে ছয় মাস চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। বাড়িতেই তার চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শে ওষুধ সেবন করানো হচ্ছিল। গত সপ্তাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।