এখন রিপোর্ট।।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর চীনা বিজ্ঞানীর নামে স্যাটেলাইটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিসিয়াস’। চলতি বছরের ১৬ অগাস্ট সকালে দেশটির দক্ষিণপশ্চিম গোবি মরু থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় স্যাটেলাইটটি, জানিয়েছে স্কাইনিউজ।
“এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে সেটি আটকানো, ভাঙ্গা বা রুদ্ধ করা সম্ভব নয়।”, বলেন প্যান জিয়ানওয়েই যিনি এই প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী।
অনেক দূরবর্তী স্থানে কোয়ান্টাম যোগাযোগ পরীক্ষা করতেই স্যাটেলাইটটি ব্যবহার করবে চীন। কোয়ান্টাম যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে ফোটন ব্যবহার করা হয় সেটি ভাঙা অসম্ভব কারণ এগুলো ভাঙ্গার চেষ্টা করা হোলে এটি নিজেই নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়।
কাছাকাছি দূরত্বে বিজ্ঞানীরা এই কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহারে সফল হলেও দীর্ঘ দূরত্বে এটি হাতের নাগালে আনতে পারেন নি। এই স্যাটেলাইটটি বেইজিং এবং জিনজিয়ার প্রাদেশিক রাজধানী উরুমকি-এর মধ্যে নিরাপদ বার্তা প্রদানের চেষ্টা করবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের চিফ কমান্ডার অয়াং জিয়ানউ বলেন, “এটি অনেকটা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এক লাখ মিটার উপর দিয়ে যাওয়া প্লেন থেকে ভূমিতে ঘূর্ণায়মান পিগি ব্যাংকে কয়েন টস করার মতো।”
নতুন এই প্রযুক্তি চীনের পাঁচ বছর ব্যাপী স্পেইস পরিকল্পনার একটি অংশ বলে জানানো হয়। এই খাতে দেশটি আরও উন্নতি করতে থাকবে এমনটিও বলা হয়েছে।
এই স্যাটেলাইট প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী প্যন জিয়ানওয়েই বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে চীন বৈশ্বিক কোয়ান্টাম যোগাযোগের আশা করতে পারে।”
এখন//এএস