প্রধানমন্ত্রীর ‘সুনির্দিষ্ট ঘোষণা’ চান আন্দোলনকারীরা

482

কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান আন্দোলনকারীরা। কতভাগ কোটা কমানো হবে—এর সুনির্দিষ্ট ঘোষণাও চান তাঁরা। এ ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার না করার ঘোষণা দিয়েছে সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও কোটা কমানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন এবং সড়ক অবরোধের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবার দুপুরে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরিতে সকল কোটা বাতিল করবেন। তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ আশ্বাসের পর কোটা সংস্কারের আন্দোলন আর চলার কোনো যোক্তিকতা থাকে না।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এমন তথ্য জানানো পর আন্দোলকারীদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত কথা জানানো হয়। রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা শতভাগ কোটা বাতিল চাই না। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরির সব কোটা তুলে দিচ্ছেন এবং আজ সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে -সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক এমন তথ্য জানানো পরও কোটা সংস্কার চেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হয়ে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল, স্যার শলীমুল্লাহ মেডিকেল, ডা. শিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজসহ বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন। এছাড়া একই দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।