পুলিশ জিরো টলারেন্স, জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান

1054

এখন রিপোর্ট।।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে পুলিশ। দেশব্যাপী এ অভিযান ১০ জুন শুক্রবার থেকে শুরু হবে। চলবে ৭ দিন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত এক সভায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর উপর করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে সাড়ে তিন ঘণ্টা স্থায়ী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দেশব্যাপী জঙ্গিদের তালিকা হালনাগাদ করা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারী বাড়ানো, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংকে কার্যকর করা, আগন্তক ও ভাড়াটিয়াদের উপর নজরদারী বাড়ানো, বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় শহীদুল হক বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা জোরদার করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি পুলিশিংকে কাজে লাগাতে হবে।’

আইজিপি দৃঢ় মনোবল নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘টিম স্পিরিট নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত নির্মম বর্বরোচিত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন আইজিপি। তিনি এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

সভার শুরুতে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবুল কাশেম, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সকল কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং ঢাকা, টাংগাইল, গাজীপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বগুড়া, ঝিনাইদহ ও নাটোর জেলার পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক সকালে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারের রাজধানীর বনশ্রীর বাসা পরিদর্শন করেন।

তখন তিনি বলেন, ‘একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রীর এভাবে খুন হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত কাপুরুষোচিত ও বর্বরোচিত।’
তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

আইজিপি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
তিনি বাবুল আক্তারের দুই সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজখবর নেন, মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় আইজিপি পত্মী বেগম শামসুন্নাহার রহমান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এখন/এসএস