পাঁচ প্রকার চায়ে উপকারিতা অনেক

1855

এক কাপ চা- অনেক কিছুর সঙ্গী। বন্ধুদের আড্ডা, অফিসের মিটিং কিংবা একান্তে সময় কাটানোর সঙ্গী এটি। কারও কারও তো সকালে ঘুম থেকে উঠে ‘এক কাপ চা’ না হলে দিনটি অপূর্ণ থেকে যায়। কাউকে আমন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ‘চায়ের দাওয়াত’ শব্দটির প্রচলন কম না। শুধু চুমুকেই তৃপ্তি নয়, চায়ে রয়েছে নানা ধরণের উপকারিতা। এসব উপকারিতা জানা থাকলে চায়ের আড্ডাটা নিছকই আড্ডা হবে না, স্বাস্থ্য ভালো সতেজ রাখবে।

ব্ল্যাক টি: পরিচিত একটি নাম। সাধারণ অন্য চায়ে ক্যাফারিন বেশি থাকলেও এই চায়ে এর পরিমাণ একদম কম। শরীরে হাড় ভালো রাখতে হলে এই চা বেশি খাওয়া উচিত। এতে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। এ ছাড়া ব্ল্যাক টি ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহযোগিতা করে।

গ্রিন টি: স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয় চা এটি। এর স্বাদটাও এটু ভিন্ন। এ ছাড়া অ্যান্টিঅকসিড্যান্টও থাকে। হালকা আঁচে গ্রিন টি বানাতে হয়। গ্রিন টি খেলে মস্তিষ্ক ভাল থাকে। এছাড়া শরীরে বেড়ে যাওয়া মেদ কমে। ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় গ্রিন টি। দিনে অন্তত দু’কাপ গ্রিন টি খেলে উপকার আসবে নিশ্চিত।

1_QjbVyCVaSq8QYV7OkxZHIQউলং টি: এই ধরনের চা-তেও ক্যাফারিনের পরিমাণ কমই থাকে। এই চায়ের বৈশিষ্ট্য হল এর সুগন্ধ। এই চা নিয়মিত খেলে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়। হার্টের অসুখ, হাড়ে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা বা ক্যাভিটি থাকলে উপকারিতা পাওয়া যায়।

হোয়াইট টি: এই চা সবথেকে বেশি শৌখিন ও বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয়। এই চায়ের মধ্যে এমনিতেই মিষ্টি ভাব থাকে। হাতে তৈরি করা হয় এই চা। এই চা-তেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই চা নিয়মিত খেলে মুখের বলিরেখা দূর হয়। ত্বকও সতেজ থাকে।

শ্যামোমাইল টি: প্রস্ফুটিত ডেয়জি গাছ থেকে তৈরি হয় এই চা। এই চা-ও খুব শৌখিন হয়। পেট ব্যথা, অনিদ্রা, মাইগ্রেন এবং অ্যালার্জি ইত্যাদি থাকলে এই চা নিয়মিত খান। উপকার পাবেন।

এখন থেকে চা প্রিয় মানুষরা যদি এসব চা নিয়ম করে খান, তাহলে চা খাওয়ার তৃপ্তি যেমন আসবে, তেমনি উপকারও পাওয়া যাবে অনেক।