নারীর জন্য খোলা চিঠি —নাজমুন নাহার

1071

সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা। চলো জয় করি বিশ্বকে। নারী নিজেকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখব… পৃথিবীর জন্য, দেশের জন্য একজন মানুষ হিসেবে যা যা কর্তব্য তা পালন করতে হবে। নিজেকে নারী ভেবে পিছিয়ে পড়লে চলবে না। জীবন যেন কোনো গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়। চেষ্টা করলে এই জীবন অনেক সুন্দর হতে পারে, সে জন্য নারীদেরকে শিক্ষিত হতে হবে, আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে সবাইকে সামনের দিকে আগাতে হবে। আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে নিজের উদ্দমতাকে কাজে লাগাতে হবে!

একজন নারী যখন একজন মা হিসেবে শিক্ষিত জাতি উপহার দিবে তখন পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজন সেই নারীকে সামনের পথ চলাকে সুগম করে দেয়া, সেই নারীর সুন্দর চিন্তার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ানো। কে নারী কে পুরুষ সেই চিন্তা পেছনে রেখে ‘আমরা সবাই মানুষ’ আমাদেরকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। আজ বহিঃবিশ্বের সব নারীরা নিজ নিজ যোগ্যতায়, সাহসিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে । আমরাও অনেক এগিয়েছি, আমাদেরকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।

নারীরা আজ মহাকাশ যাত্রা থেকে শুরু করে ছুটছে পৃথিবীর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। আমাদেরকেও সব বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে বিশ্বকে জয় করতে হবে। আমি ছোট বেলা থেকে নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখেছি, আমি কখোনো নিজেকে অবমূল্যায়ন করিনি, নিজেকে বড় করে ভাবতে শিখেছি, সেই বিশাল ভাবনার জায়গা থেকে নিজেকে তিল তিল করে গড়েছি! কেউ আমাকে ঢিল মারলেও, ঢিলকে পথ থেকে সরিয়ে নিজের লক্ষস্থলে হেঁটেছি। আমি শুধু ভেবেছি আমাকে স্বপ্নের ওই চূঁড়ায় পৌঁছাতে হবে। এই ভাবেই আমি স্বপ্ন দেখতে দেখতে পথ হেঁটেছি। নিজের পরিশ্রম ও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতে করতেই দেশ্বত্ববোধের জায়গা থেকেই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর ৯৩ টি দেশ ঘুরেছি। যার পেছনে আমার জীবনের অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার রয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই আমি আমার মনোবল আর চেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে পথ চলেছি, পথে পিছলে পড়ে গেলে আবার নতুন করে দাঁড়াতে শিখেছি। পৃথিবীতে অনেক নারী আমি দেখেছি যারা যারা এক গোলার্ধে জন্ম নিয়ে আরেক গোলার্ধ আবিষ্কার করছে। বিশ্ব জয় করছে, আমাদেরকেও আরো এগিয়ে যেতে হবে।