দেশে ফিরলেন তামিম

806

তামিম ইকবালের আগমনের উপলক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে অপেক্ষারত ছিলো সংবাদমাধ্যম। পাশাপাশি ছিল উৎসুক জনাতার ঢল। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে একহাতে ব্যাটিংয়ের বীরোচিত যে কীর্তি তিনি দেখিয়েছেন তাতে এমন ভীড় অস্বাভাবিক কিছু নয়।

এরপর মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে বেরিয়ে এলেন লাল সবুজের সেই বীর-তামিম ইকবাল।

১৫ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে দুবাইয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওমন বীরত্বের ইনিংস খেলেও চোখে মুখে তার হাসির লেশ মাত্র নেই। ভীষণ গুরুগম্বীর। মনে হচ্ছিলো কেউ যেন হাসি খুশিতে ভরা অবয়বে বিষন্নতার কালিমা লেপ্টে দিয়েছেন। এশিয়া কাপের চলতি আসরটি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেছে তার। দেড় মাসের মতো থাকতে হবে মাঠের বাইরে।

বাঁহাতের কব্জিতে আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না তাই কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে করতে হবে না তার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। আগামি দুই সপ্তাহ বিশ্রামের পর যদি হাড়ের জোরা ঠিকমতো লাগে তাহলে রক্ষা।

স্লিংয়ে ঝুলান হাত নিয়ে লাউঞ্জ থেকে হেঁটে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসন তিনি। বাধ্যগত ছাত্রের মতো দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে ইনজুরির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরলেন। প্রকাশ করলেন ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের হতাশা।

তামিম বলেন, “সত্যি কথা এশিয়া কাপ নিয়ে আমার এবার অনেক বড় আশা ছিল। ব্যক্তিগতভাবেও। কিন্তু এভাবে প্রথম ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে ফিরে আসা ভালো লাগার কথা নয়। অবশ্যই অনেক অনেক হতাশ। এমন একটা ইনজুরি, অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। এখন উচিত যতদ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসা।”

তিনি আরও বলেন, “ইনজুরির আপডেট যেটা আমরা ইংল্যান্ড থেকে পেয়েছি, সেটা হল এই মুহূর্তে কোন অপারেশনের দরকার নেই। প্রথম এক সপ্তাহ একটু ক্রিটিকাল। এক সপ্তাহ পর একটি এক্সরে হবে। এক্সরেতে যদি দেখা যায় হিলিং ভাল হচ্ছে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর যদি হিলিংটা একটু এদিক ওদিক হচ্ছে, তাহলে অপারেশনের দরকার হতে পারে।”