দেখা যাক কী করতে পারি !

কামরুল হাসান নাসিম, বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা

804

বয়স ৪১ ! হ্যাঁ, আমার। ২ এপ্রিল ২০১৮ সালে তা পূর্ণ হবে। অর্থাৎ এখনো বয়স ৪০ বলা যায়। আমাদের আম্মাজান বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এই একটা জায়গায় দারুন মিল আমার আর তাঁর। সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার জন্ম তারিখ ২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু আমি আসলে ২ এপ্রিল জন্ম নিয়েছিলাম। এটা আর ঠিক করার উদ্যোগ নিই নি। কারণ, আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতায় যেমন বিশ্বাসী নই, ঠিক তেমনি কোথায় কি লেখা থাকল তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেয়ে তাই জন্ম তারিখ ঠিক করার চেষ্টায় থাকিনি। স্কুলের শিক্ষকদের ভুলের জন্য আমার আর আম্মাজানের মধ্যকার তাই এই অদ্ভুত মিল ! জন্ম তারিখ নিয়ে বিড়ম্বনা !

এদিকে তিনি বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন। আর আমি বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা। তিনি নেত্রী আর আমি নেতা-নেত্রীর মতো সত্তা তৈরি করতে চেষ্টা করে থাকি। এখনো পর্যন্ত আমি কথিত কিং মেকার হলেও মুলত বাংলাদেশের ট্রাডিশনাল পলিটিক্সের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কিং মেকার ! সেটা চোখে দেখা যায় না– দেখার দরকারও নেই। বিএনপি ইস্যু নিয়ে আমার একটা সাধারণ রোল থাকছে– যেটা নিজ তাগিদে আমি করেছি। তাও এটা একেবারেই ধারার বিপরীতে। কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই করেছি। তবে আমি জীর্ণ সব কিছুকে ডিঙিয়ে ধারা ভাঙ্গারই তো একটা লোক। বিএনপি ইস্যুতে অনেক কিছুই হবে। দেশ ইস্যুতেও আমি ভবিষ্যতে ভুমিকা রাখতে পারবো। আন্তর্জাতিক পরিসরে আমি আমার সেরা রাজনীতিটা তুলে রেখেছি। সময় হোক, দেখা যাবে তখন। এদিকে কখনো যদি অনেক মানুষ প্রকাশ্যে( ১০ লাখ) কোনদিন রাস্তায় এসে বলে, তুমি চুল লম্বা এবার কিং মেকার না হয়ে কিং হও— তখন চুল টুল কেটে পরিপাটি বেশে তা নিয়ে চিন্তা করাও যাবে ! কিন্তু সমস্যা হল, আমার জীবন ও আমার ব্যাগেজ ! আমি নানা অঙ্গনের মানুষ। ইতিহাস নির্ণয় করবে যে, কামরুল হাসান নাসিম কোন অঙ্গনটায় বেশী সফল ছিল !

আপনারা সবাই জানেন বাংলা সাহিত্যে আজ প্রায় ১০৪ বছর হয়ে গেল নোবেল পুরষ্কার আর ধরা দেয় নাই। আমি বলছি না যে নোবেল জয় করে আমাকে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে হবে । আমি থালা বাসন কুড়ানোয় বিশ্বাসী নই কিংবা সাম্রাজ্যবাদী অথবা ক্ষমতাধরদের খুশী করে পন্ডিত সেজে অতীতের মতো একটা নোবেল বাংলায় চলে আসার বন্দোবস্তে থাকবোও না । বাংলা সাহিত্যের প্রায় সবগুলো শাখায় দুর্দিন যাচ্ছে। তবে নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা খুব ভাল করার চেষ্টা করছে। ওদের জন্য অনিশেষ দোয়া রইল। এদিকে চেষ্টা থাকবে আমার রচিত পুস্তকগুলো বিশ্বমানের বা সেরা পর্যায়ের সাহিত্যিক, তাত্ত্বিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, কবিদের চিন্তাশক্তিকে ছাপিয়ে রেখে যাওয়া ‘মত’ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকে থাকুক।

সামনেই ২০১৮ সাল ! এক দুই দিন বাদেই বড়দিন ! আমার নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। আগামী বছরে কত কাজ ! এই বছরের শেষভাগে তালগোল পাকিয়ে ফেলে কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে করতে পারিনি। নতুন বছরটায় তাই অনেক চালেঞ্জ। একটা একটা করে যেন সবকিছু সুন্দর করে শেষ করতে পারি, এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তবে বছরের পর বছর দিনে ২১ ঘন্টা জেগে থেকে এখন শরীরটা খুব বেশী ভাল থাকে না। সুগার আছে। তিনবেলা ইনসুলিন নিতে হয়। ইদানিং অবশ্য বেশকিছুদিন ধরে বের হই। এখন আর আগের মত বছরের পর বছর এক চেয়ারে বসে থাকি না। তবে বসে পড়বো আবার সহসায়। আসল কথা যেটা বলতে চাইছি, আমি বুড়ো হয়ে গেছি। এর উপরে এখন সিগারেট পান করার বদ অভ্যাসটা আরো বেড়েছে। সাড়ে তিন প্যাকেট সিগারেট লাগে আমার। খুবই বাজে দিক। যে দেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এখনো স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়, সেখানে দৈনিক এত টাকার সিগারেট খাওয়াটা সমীচীন নয়। এটা কমানোর দরকার। ফেসবুকে আমাকে থাকতে হয় পেশাগত কাজে তবে এখন আর কিছু এখানে সস্তা লেখা লিখতে ইচ্ছে হয় না। মানুষের সংখ্যা কমছে, জনসংখ্যা বাড়ছে। আমি মানুষ তৈরির জন্য শ্রম দিতে চাই। বুড়ো যেহেতু হয়েই গেছি— আর ৫/৭টা বছর বাঁচিয়ে রাখুক আমায় স্রষ্টা। দেখা যাক কী করতে পারি !