তনু হত্যার দুই বছর

1702
সোহাগী জাহান তনু

মেধাবী ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পূর্ণ হয়ে এলো আজ। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দূরে থাক এখন পর্যন্ত শনাক্তই করা যায়নি। এতে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ওই বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা সিআইডি। দায়িত্ব গ্রহণের এক মাস পর সিআইডি তনুর জামাকাপড় থেকে নেয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়া এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল। তবে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি।

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার সংগঠক খায়রুল আনাম রায়হান জানান, তনু হত্যার মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে সিআইডিতে পড়ে আছে, মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্ত রিপোর্ট দুই বছরেও হচ্ছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

সোহাগী জাহান তনু

মামলার অগ্রগতি বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি-কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি এবং ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে এবং সহসাই দেশবাসীকে একটি ফলাফল দেখাতে পারব।